রংপুরে ত্রিশ লক্ষ নকল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি জব্দ

রংপুরে ত্রিশ লক্ষ নকল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি জব্দ

সংগৃহীত

রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার ৫ নং লক্ষীটারী ইউনিয়নের মান্দ্রাইন পূর্বপাড়া গ্রামের আজগর আলীর বাড়ি ৩০ লক্ষ নকল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি জব্দ করেছে রংপুর কস্টামস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। রবিবার কাষ্টমস কর্মকর্তা শফিকুলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ নকল ব্যান্ডরোল ও নকল বিড়ি জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত নকল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি স্থানীয় লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় পরিষদের হল রুমে রাখা হয়। তবে দুই দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় জনগণ ও সাচেতন মহল। তাদের দাবি সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব তেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের কিছু বলতে পারবোনা। কাস্টমস চালানটি আটক করে এখানে রাখতে চাইলে আমি সরকারি কর্মকর্তা ভেবে রাখতে বাধ্য হই। আপনাদের কিছু জানার থাকলে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে জেনে নেন।

এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনারের ফোনে রিং দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার সাথেও কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। এমতাবস্থায় কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস কে তার মুঠো ফোনে কল দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বলেন, আজকে আইনি ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হয়েছে, ডেপুটি কমিশনার ট্রেনিং এ থাকার কারনে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হয়। আইনি কি পদক্ষেপ গ্ৰহন করছেন তার কাগজ চাইলে উনি বলেন, এমন আটক তো প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে, তো আপনাদের আজ কেনো মামলার কাগজ প্রয়োজন হলো এটাই তো বুঝতে পারলাম না, তবে এ বিষয়ে আপনারা ডেপুটি কমিশনারের সাথে কথা বলেন এই বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিঃ পক্ষে এজিএম মাহবুবুল আলম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার জোকসুত্রে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হতে বন্চিত হচ্ছে। এ সমিক্ষায় দেখা গেছে, রংপুর অঞ্চল থেকে প্রায় প্রতি মাসে ১২ থেকে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করেন সেক্ষেত্রে সরকার প্রতি মাসে এর দ্বিগুন রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবে। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষেরর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।