জেলায় জেলায় অভিযানে বিপুল পরিমান নকল বিড়ি জব্দ

জেলায় জেলায় অভিযানে বিপুল পরিমান নকল বিড়ি জব্দ

ছবি: প্রতিনিধি

মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পুলিশ এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও জেলার ফারাবাড়ী বাজার ও শিমুলতলী  বাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্ত ঠাকুরগাঁও শাখার ইন্সপেক্টর (স্যানেটারী ইন্সপেক্টর) ফারুক আহমেদ ও আবুল কালামের  নেতৃত্বে  একটি টিম বাজারের দোকানে দোকানে অভিযান চালায়। এসময় বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত স্পেশাল আশা বিড়ি, রাসেদ বিড়ি, মুক্তা বিড়ি ও যমুনা বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তবে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর নাম ডাইরিতে লিপিবদ্ধ এবং নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি না রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করা হয়। জব্দকৃত বিড়িগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

অভিযান শেষে প্রতিটি বাজার কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় মেম্বারকে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অবৈধ কমদামী ও নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত কোন বিড়ি বাজারে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে তদরকি করতে বলা হয়েছে।

ইন্সপেক্টর (স্যানেটারী ইন্সপেক্টর) ফারুক আহমেদ জানান, ভবিষ্যতে কোন  দোকানে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। একইসাথে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

এদিকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা অপূর্বের নেতৃত্বে মাগুরা শহরে অভিযান চালায়। এসময় শহরের ভায়নার মোড় থেকে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত পয়ত্রিশ হাজার (৩৫,০০০) শলাকা আলী বিড়ি,  চাওলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ১ বস্তায় পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত রানা বিড়ি এবং পুলিশ লাইনের পিছনে মুফাজ্জলের গোডাউন থেকে আরও পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত রানা বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযানকালে সর্বমোট এক লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার (১,৩৫,০০০) শলাকা অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আলী বিড়ি ও রানা বিড়ির বিক্রিয়কর্মী পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

কাস্টমস কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধ কমদামী বিড়ি বিত্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি বাজার,জাংগালিয়া বাজার ও চরকাওনা নতুন বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আঠাশ হাজার পাঁচ শত (২৮,৫০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত দিলীপ বিড়ি,নতুন বিড়ি ও মন্টু বিড়ি জব্দ করা হয়।  অভিযানকালে বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

পাকুন্দিয়া  থানার এস আই মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।  অভিযানকালে এস আই মজিবুর রহমান জানান পরবর্তীতে কোন দোকানে অবৈধ কমদামী বিড়ি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।