অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন : মির্জা ফখরুল

অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন : মির্জা ফখরুল

অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকারকে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিভাগীয় সমাবেশে বাধা ও হামলা করে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। এ লড়াই জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই। এ লড়াই বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য নয়। এটা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থের লড়াই। এ লড়াইয়ে জিততে হবে। নইলে দেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। আগামী দিনে দেশ কোন পথে যাবে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথেই সে ফায়সালা করবে। সেই আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

বুধবার দুপুরে স্থানীয় পৌর শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতিকে রক্ষার জন্য জিয়া পরিবার যেভাবে কাজ করছে তার ধার শোধ করতে গণজাগরণকে এগিয়ে নিতে হবে। বিএনপির ডাকে যখন সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে তখন আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে হামলা, মামলা ও সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। যারা ভয় পায় তারাই হুমকি দেয়। রংপুরের সমাবেশ প্রমাণ করেছে বিএনপি ছাড়া সেখানে অন্য কোনো দল নেই।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে এ সরকার ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করলেও এখন বলছে, দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। তারা বিদ্যুৎ দিতে পারে না, গ্যাস দিতে পারে না, তেল দিতে পারে না। চারিদিকে শুধু নাই আর নাই। সরকার রিজার্ভ চুরি করে পাচার করছে বলে তলানীতে ঠেকেছে রিজার্ভ। ব্যাংকে ডলার নেই বলে বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার প্রধান বলেছেন- বিএনপিকে নাকি হেফাজতের পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাহলে গুলি করে হেফাজতের লোকজনকে যেমন হত্যা করা হয়েছে, বিএনপিকেও তাই করা হবে। আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম বিএনপি চালিয়ে যাবে। কোনো কিছুতেই দাবিয়ে রাখা যাবে না।’তিনি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিুরদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয় সাধারন মানুষ। তারা চিড়া, মুড়ি গামছায় বেঁধে মিছিলে আসেন। তারা দেশের জন্য রাস্তায় নামেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যেতে কোনো যানবাহন না পেলেও গণমিছিল নিয়ে আপনারা যোগ দেবেন। বিএনপির নেত্বতে দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিজয় আসবেই।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া সদর আসনের এমপি গোলাম মো. সিরাজ, বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন এমপি, লাভলী রহমান, আহসানুল তৈয়ব জাকির, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, মীর শাহে আলম, তৌহিদুল আলম মামুন, মনিরুজ্জামান মনিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।