শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে : রাষ্ট্রপতি

শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে : রাষ্ট্রপতি

শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে।তিনি ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আগামীকাল শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন,‘এ বছর দিবসটির রজত জয়ন্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’।

আবদুল হামিদ বলেন,আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির অনন্য নিদর্শন। যুগযুগ ধরে এদেশের সকল ধর্ম, গোত্র ও বর্ণের মানুষ মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আর সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর বর্ণিল ভাষা- সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও জীবনাচার এই অঞ্চলকে পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করেছে। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল একসময় ছিল অশান্ত ও অবহেলিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের উদ্যোগে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়, সূচিত হয় শান্তির পথচলা।’

তিনি বলেন, শান্তি  প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য জেলাগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চলমান ধারা আরো বেগবান হবে। তিনি পার্বত্য জেলাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে অধিকতর অবদান রাখারও আহ্বান জানান।

সূত্র : বাসস