পাবনায় গণপরিবহন বন্ধ: ট্রেনেই ছুটছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

পাবনায় গণপরিবহন বন্ধ:  ট্রেনেই ছুটছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

ছবি- নিউজজোন বিডি

পাবনা প্রতিনিধি: শেষ পর্যন্ত মহাসড়কে নছিমন, কমিনসহ অবৈধ যান এবং সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলও বন্ধ হয়ে গেল। প্রশাসন কর্তৃক হয়রানি বন্ধসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে রাজশাহীর ৮ জেলায় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলে দ্বিতীয় দিন শুক্রবারেও। ধর্মঘটের ফলে যাতায়াতের সব ধরণের বাহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও উৎসব আমেজের সঙ্গেই ট্রেনে ছুঁটছেন রাজশাহীর গণসমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বেসরকারি গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতায়াতের প্রধান হাতিয়ার সরকারি ট্রেনগুলো।  জেলার অধিকাংশ উপজেলা থেকে শত শত নেতাকর্মী ট্রেনযোগে রাজশাহীর গণসমাবেশে যোগদান করছেন। পাবনা সদর, বেড়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ঈশ্বরদী রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীর সঙ্গে সহজ যোগাযোগ থাকায় নেতাকর্মী খন্ড খন্ডভাবে রাজশাহীতে রওনা দিচ্ছেন।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ও বৃহস্পতিবার রাতে পাবনার একাধিক রেলস্টেশন ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এতে  দেখা গেছে, অধীনস্থ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নেতারা ট্রেনের বগী বুকিং দিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন শুকানো খাবার ও রান্না করার জিনিসপত্র। এসময় নেতাকর্মীরা ট্রেনে স্লোগান মুখর করে তুলছেন।

এর আগে ধর্মঘটের আগের দিন বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত থেকেই নেতাকর্মী রাজশাহীর অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। তবে এদিন বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সমাবশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা বুধবার রাতে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। পাবনা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যখন নেতাকর্মীরা গাড়িতে উঠতে ছিলেন তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে থাকা খাবার ও রান্না করার জিনিসপত্রও পুলিশ নিয়ে যায়। এসময় কয়েকটি বাস থেকে  নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিয়ে বাস নিয়ে চলে যায়। পরে ওই নেতারা বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনযোগে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাবনা শহরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার  দেখিয়েছে পুলিশ। তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, সমাবেশে পাবনা থেকে যাতে নেতাকর্মীরা যেতে না পাওে সেই জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

 জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সরকার ও সরকারদলীয় নেতা পরিবহন মালিকদের হুমকি দিয়ে ধর্মঘট দিয়েছে। এতেও যখন নেতাকর্মীদের আটকানো যাচ্ছিল না; তখন গ্রেফতার শুরু করে। এরপর রাজশাহী অভিমুখে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। এখন পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে নেতাকর্মীদের সমাবেশে  যেতে বাধা দিচ্ছে তারা। কিন্তু কোনও বাধাই নেতাকর্মীদের আটকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।’