মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান

মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, চারটি বেসরকারি টেলিকম অপারেটর- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং এয়ারটেলের  টু-জি স্পেকট্রাম ফি এবং লাইসেন্স ফি এর ভ্যাট হিসাবে সরকারের কাছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

রবিবার রাজধানীর কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, ‘সরকারের টাকা মানে জনগণের টাকা, তাই অপারেটরদের অবশ্যই টাকা দিতে হবে।’ বিটিআরসি টাকা তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, ‘বিটিআরসির সকল আইন ও নীতি জনগণের কল্যাণে প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা টেলিযোগাযোগ খাতকে দেশের একটি যুগোপযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

প্রদেয় পরিমাণের বিষয়ে তিনটি প্রধান টেলিকম অপারেটরকে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিটিআরসি নিরলসভাবে কাজ করছে।’

স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার অধ্যাপক শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, বকেয়া প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ও জনগণের টাকা। টেলিকম অপারেটরদের এই টাকা দিতে হবে।

বিটিআরসির মহাপরিচালক (আইন ও লাইসেন্সিং বিভাগ) আশিস কুমার কুন্ডু বলেন, গত বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাছে এক হাজার ১৬৩ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা, বাংলালিংকের কাছে ৬২৫ দশমিক ২৭ কোটি টাকা, রবির কাছে ৫৬৫ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ৫৯ দশমিক ০৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

তিনি বলেছিলেন, বিটিআরসি অপারেটরদের কাছ থেকে শতভাগ রাজস্ব পাবে এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করা যাবে না।

বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রকিব বলেছেন, বিটিআরসি অবশ্যই অপারেটরদের কাছ থেকে তার বকেয়া পাবে কারণ তারা অবৈধভাবে অর্থ দাবি করেনি।

তারেক হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ পরিচালক (আইনি ও লাইসেন্সিং)।

সূত্র: ইউএনবি