বিএনপি গণআন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি : কাদের

বিএনপি গণআন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি : কাদের

সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থান নয়, বিএনপি গণআন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটশন ও ডক্টর শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের বেদিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান নয়, গণআন্দোলনেরও ঢেউ তুলতে পারেনি বিএনপি। তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আন্দোলন শুধুমাত্র তাদের নেতাদের মধ্যে সীমিত।’


তিনি বলেন, বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন এটা তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন। এখানে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ভূখণ্ডের ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বাস্তবে একটি। সেটি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ৯০-এর আন্দোলন ছিল গণআন্দোলন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্তই নেবে আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে বলে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সাথে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা (আওয়ামী লীগ) তা মেনে নেব।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া ১৬৭টি আসনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল এবং এই বিজয়ী দলকে পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান তা হলো স্বাধীনতা। আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারো ছিল না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে বিপুল সংখ্যক আসনের জয় লাভ করেছিল, একমাত্র তারই বৈধ অধিকার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা। কাজেই অন্য কারো স্বাধীনতা ঘোষণা করার কোনো অধিকার ছিল না। অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিল। এটা হলো বাস্তবতা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদে মন্নাফী, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস