হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ সিইসির

হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ সিইসির

হিরো আলম

সদ্য সমাপ্ত বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে টেলিফোনে এ নির্দেশ দেন সিইসি।

নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। ওই দিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ আনেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে তা দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘হিরো আলমের ভোটের ফলাফল নিয়ে সিইসি ফোন করেছেন। তিনি ফলাফল খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এ জন্য আমরা বগুড়া-৪ আসনের সব কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রাপ্ত ভোটের হিসাব সঠিক আছে। আমরা হিরো আলমকেও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের কপি দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ওই আসনের কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট প্রাপ্ত ১৪ দলের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে (মশাল প্রতীক) বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা প্রতীক) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।

হিরো আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল আলাদাভাবে ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। কিন্তু এরপর ১০টি কেন্দ্রের ভোট আলাদা আলাদাভাবে ঘোষণা না করে এক সাথে দিয়েছে প্রশাসন। ওই কেন্দ্রগুলোর কোনটায় কত ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলে জায়গায় গণ্ডগোল করেছে। ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহিড়ীপাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল না, তাকে পাস করানো হয়েছে।’