নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

সংগৃহীত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় এবং সাড়ে তিনটার দিকে টং এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় আহত একাধিক শিক্ষার্থীকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী একটি চায়ের দোকানের সামনের বেঞ্চের ওপর বসেছিলেন। এ সময় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন ছাত্র সেখানে গিয়ে তাকে আরেকটি বেঞ্চে বসতে বলেন। তাদের কথা না শোনায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর টঙের দোকানের পাশে একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে জেরা করেন ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামের অনুসারীরা। তখন ভুক্তভোগির পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসেন মোহাইমিনুলের কয়েকজন কর্মী। এ নিয়ে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হলে কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।

তবে, এ ঘটনার জেরে বুধবার রাতে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্যাম্পাসে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন করে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসাইন সুমন বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।