বিজয়ের ব্যাটে শতক, আবাহনীর ছয়ে ছয়

বিজয়ের ব্যাটে শতক, আবাহনীর ছয়ে ছয়

সংগৃহীত

​আবারো বিজয়ের ব্যাটে রানের ফোয়ারা, ধরে রেখেছে আবাহনী জয়ের ধারা। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজের ১৭তম সেঞ্চুরি হাঁকানোর দিনে বিজয় দলকে জিতিয়েছেন ৫৪ রানে। সুবাদে এবারের আসরে ছয় ম্যাচ খেলে সব ক’টিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে আকাশী-নীলরা, আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

 

শনিবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে আবাহনী। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাইম এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। দলীয় ৩০তম ওভারে ১৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে নাইম শেখ ৫৭ রানে বিদায় নিলে। ৪০ ওভার শেষে আবাহনী পাড়ি দেয় ২০০ রানের মাইলফলক, মাঝে বিদায় নেন জাকের আলি (১৩)।

২০০ রান পেরোতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আকাশী-নীলরা। আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সমান ২১ ও ধানিশ আজিজ আউট হন ৬ রান করে। বিদায় নেন বিজয়ও, তবে ততক্ষণে ছুঁয়ে ফেলেছেন তিন অংকের ঘর। ১২৬ বলে ৭ চার ৪ ছক্কায় ১০৭ রান করেন তিনি।

তার শতকে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬৬ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী। শেষদিকে সাইফুদ্দীনের ১৪ বলে ১৮ ও তানজিম হাসান ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

২৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা লিওপার্ডস। ওপেনার জসিম উদ্দীন বিদায় নেন ১৮ বলে ৮ করে। তিনে নামা জাকিরুল আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান, সমানসংখ্যক রান করে ফেরেন রকিবুল হাসানও। পিনাক ঘোষ খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা লিওপার্ডসের জন্য যথেষ্ট হয়নি, ৯৬ বলে ৬৮ রান করে আউ হন পিনাক।

এরপর বলার মতো স্কোর পেয়েছেন কেবল আল ইমরান ৫৬ বলে ২৯ ও অধিনায়ক মনির খান ৩২ বলে ৩১। তাছাড়া ১৯ রান আসে দেলোয়ারের ব্যাটে। ৭ বল বাকি থাকতেই ২১২ রানে অলআউট হয় ঢাকা লিওপার্ডস। আবাহনীর হয়ে তিনটা করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল ও রাকিবুল হাসান। দুটো করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।