সিলেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

সিলেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

প্রতীকী ছবি

সিলেটের জৈন্তাপুরে একটি হত্যাকান্ডের পর ঢাকায় আত্মগোপন করেছিল অভিযুক্তরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ওই হত্যা মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। ঢাকার কারওয়ান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে র‌্যাব। 

সোমবার রাতে গ্রেফতারকৃতদের সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। রবিবার রাতে ডিএমপির রমনা থানার মৎস্যভবন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শামস উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী তাজ উদ্দীন (৪৪), তার তিন ভাই নাসির উদ্দিন (৩৬), রহিম উদ্দিন (৪০) ও বশির উদ্দিন (৩৮) এবং ভাতিজা আহবাব হোসেন তানভীর (২৫)। 

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহত শামসুদ্দিন গ্রেফতারকৃত তাজ উদ্দীনের আপন চাচাতো ভাই। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ। জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজারে উভয় পরিবারের দোকানপাট রয়েছে। প্রায় দুইমাস পূর্বে গাছের ডাল কাটা নিয়ে তাজ উদ্দিন ও শামসুদ্দীনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও সমাধান হয়নি। এর জের ধরে গত ২৪ মার্চ দরবস্ত বাাজরে শামসুদ্দীনের ভাই শামীম ও তাজ উদ্দীনের ভাই কামালের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ২৪ মার্চ রাত ৩টার দিকে তাজ উদ্দীন ও তার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শামসুদ্দীনের পরিবারের উপর হামলা চালান। এসময় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে শামসুদ্দীন ও তার ছোট ভাই মাসুক গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ২৮ মার্চ শামসুদ্দীনকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৩১ মার্চ রাত ২টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান। 
এ ঘটনার পর র‌্যাব আসামিদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে। গত রবিবার রাতে ওই মামলার পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার করে।