মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি বিধানে সংসদে আইন পাসের দাবি

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি বিধানে সংসদে আইন পাসের দাবি

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি বিধানে সংসদে আইন পাসের দাবি

স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের শাস্তি বিধানে সংসদে আইন পাস করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রোববার জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আনা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি হওয়া উচিৎ। দেশকে একটা সেফ গার্ড দিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে মিথ্যাচারকারীদের শাস্তি বিধানে আইন পাস করা প্রয়োজন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা শুধু একটা মানুষকে হত্যা করেনি, শুধু একটি স্বাধীন সংসদকে নয়, একটা জাতিকে হত্যা করেছিল। ঘাতকেরা বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করেছিল। এসব ঘটনা চোখ মেলে দেখা দরকার। তা না হলে বারবার আমাদের হোঁচট খেতে হবে।তিনি বলেন, আমি শুনেছি ল কমিশন নাকি এ ধরনের (মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি বিধানে) একটি আইনের প্রস্তাবনা করেছে। এ আইনটি জাতিকে সেফ গার্ডে রাখার জন্য এই মহান সংসদে পাস করার আহ্বান জানাই।

বিএনপির সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। শুধু তারাই চক্রান্ত করছে না, যারা এ সংসদকে বিশ্বাস করে না এবং দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র হিসেবে অনেকেই এ ষড়যন্ত্র করছে। সংসদ যেহেতু সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু তাই এখানেও তারা সুযোগ পেলেই মিথ্যাচার, ইতিহাসের বিকৃতির প্রচেষ্টা চালায়।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি বিধানে আইন করা না হলে এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আরো বেশি হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জেলহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, তিনিই দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এ আইনটি করতে পারেন।