শিশুকে জিহ্বা চুষে দিতে বলে নয়া বিতর্কে দালাই লামা, ক্ষমা প্রার্থনা

শিশুকে জিহ্বা চুষে দিতে বলে নয়া বিতর্কে দালাই লামা, ক্ষমা প্রার্থনা

শিশুকে জিহ্বা চুষে দিতে বলে নয়া বিতর্কে দালাই লামা, ক্ষমা প্রার্থনা

এবার ভালই বিপাকে পড়লেন বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক গুরু দালাই লামা। প্রকাশ্যে জিহ্বা বাড়িয়ে এক শিশুকে চুম্বন করায় বিশ্বজুড়ে প্রচণ্ড বিতর্কের ঝড় উঠেছে। অনলাইনে তার শাস্তির দাবি জোরালো হচ্ছে ক্রমশ। যদিও পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আগেভাগেই ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তার অফিস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন আচরণের জন্য বিশ্বজুড়ে ভক্তদের কাছে দালাই লামা ক্ষমাপ্রার্থী এবং তিনি এ জন্য অনুতপ্ত। 

বিবিসির খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি এই আধ্যাত্মিক গুরুর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, তিনি এক শিশুকে প্রকাশ্যে জিহ্বা বাড়িয়ে চুমু খেয়েছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় শুরু হয়। তার জেরেই এবার আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি জারি করে ক্ষমা চেয়েছেন দলাই লামা। ভিডিওতে দেখা যায় যে, একটি শিশু দালাই লামার কাছে গিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু দালাই লামা তার দিকে জিহ্বা বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুমি কি আমার জিভ চুষে দিতে পারবে?’ এরপর দেখা যায়, দালাই লামা ওই শিশুর মুখে চুমু খাচ্ছেন। তবে টুইটারে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

দালাই লামার অনেক ভক্তই হতাশ হয়ে লিখেছেন, তার কাছ থেকে এমন অশালীন আচরণ আশা করা যায় না। এই আচরণ কখনওই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। ক্রমেই বিষয়টি অনলাইনের গরম আলোচনায় পরিণত হয়। তারপরই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান বৌদ্ধ ধর্মগুরু। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, দালাই লামা ভারতের চণ্ডীগড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি শিশুটিকে চুম্বন করেছিলেন। সেখানে অনেকেই তার গ্রেপ্তারের দাবিও জানাচ্ছেন। অনলাইনেও অনেকেই বলছেন, এমন কাণ্ড ঘটিয়ে শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট হতে পারে না, তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে।

উল্লেখ্য, চীনের তিব্বত অঞ্চলের এই ধর্মগুরুর ১৯৫৯ সাল থেকে ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। চীনের কমিউনিস্ট শাসনের বিরোধিতা করে পশ্চিমা বিশ্বে ‘নায়ক’ বনে যান তিনি। ১৯৮৯ সালে তাকে এ জন্য নোবেল পুরস্কারও দেয়া হয়। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেয়া এই ধর্মগুরুর বয়স এখন ৮৮ বছর।