ম্যানসিটির কাছে পাত্তা পেলো না বায়ার্ন

ম্যানসিটির কাছে পাত্তা পেলো না বায়ার্ন

ফাইল ছবি

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো ম্যানসিটি। মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তাদের মাঠে পাত্তা পায়নি বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দাপট দেখিয়ে ৩-০ গোলে জার্মানদের হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

রদ্রির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। দ্বিতীয়ার্ধে বার্নার্ডো সিলভার হেড ও আর্লিং হাল্যান্ডের লক্ষ্যভেদী শটে জয়ের হাসি হাসে সিটিজেনরা।

গোলে প্রথম শট নিয়েছিল ম্যানসিটি। ৫ মিনিটে বক্সের বাঁ দিক থেকে হাল্যান্ডের বাঁ পায়ের শট অনেক উঁচু দিয়ে মাঠের বাইরে যায়। দুই মিনিট পর বার্নার্ডো সিলভার পাস থেকে কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রসে বক্সের সেন্টার থেকে ইকে গুন্ডোগানের হেড গোলবারের ওপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বায়ার্নের সুযোগ তৈরি হয়েছিল ১১ মিনিটে। ডেভিসের নেওয়া শট চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে। তিন মিনিট পর বায়ার্ন গোলকিপার সমারকে চ্যালেঞ্জ করেন হাল্যান্ড। কোনোরকমে বল বিপদমুক্ত করেন অতিথি গোলকিপার। ২২ মিনিটে গ্রিলিশের বাড়ানো বলে বক্সের বাঁ দিক থেকে নেওয়া হাল্যান্ডের নিচু শট সহজে রুখে দেন সমার।

চার মিনিট পর রুবেন দিয়াস অবিশ্বাস্য ব্লকে মুসিয়ালার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন। বায়ার্নের এই সুবর্ণ সুযোগ নষ্টের পরের আক্রমণে ম্যানসিটি এগিয়ে যায়। বার্নার্ডো সিলভার অ্যাসিস্টে বক্সের ডান দিক থেকে বাঁ দিকে সরে এসে কিমিখের পাশ দিয়ে বাঁ পায়ে শট নেন রদ্রি। ২৬ মিনিটে তার ভাসানো বল গোলপোস্টের ডানদিক দিয়ে সমারকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। 

৩৩ মিনিটে গুন্ডোগান ম্যানসিটিকে ২-০ গোলে এগিয়ে রাখতে পারতেন। ডি ব্রুইনার ক্রস পাঞ্চ করে গ্রিলিশের কাছ থেকে বিপদমুক্ত করেন সমার, ফিরতি শট নেন গুন্ডোগান। মাটিতে বসে থাকলেও পা বাড়িয়ে সেভ করেন বায়ার্ন কিপার। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে লেরয় সানের শট গোলবারের পাশ দিয়ে গিয়ে হতাশ করে জার্মানদের।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে বায়ার্ন সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ছিল। ৪৬, ৪৯ ও ৫৪ মিনিটে সানে কঠিন পরীক্ষা নেন ম্যানসিটি গোলকিপার এডারসনের। দারুণ সেভে জার্মানদের হতাশ করেন স্বাগতিক কিপার। 

হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার পর ৬৮ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যানসিটির মাঝমাঠের ভরসার প্রতীক ডি ব্রুইনা। এক মিনিট পর বায়ার্ন নামায় সাদিও মানেকে। আক্রমণভাগে শক্তি বাড়লেও লিভারপুলের সাবেক তারকা মাঠে আসার পরের মিনিটে বায়ার্নকে আবার পেছনে ফেলে ম্যানসিটি।

৭০ মিনিটে গ্রিলিশের বাড়ানো বলে হাল্যান্ড লক্ষ্যে শট না নিয়ে বাড়িয়ে দেন সিলভাকে, পর্তুগিজ মিডফিল্ডার হেড করে জাল কাঁপান। পাঁচ মিনিট পর গোলপোস্টের ১০ গজ দূর থেকে নেওয়া জুলিয়ান আলভারেজের দুর্বল শট সহজে ঠেকান সমার।

কিন্তু তৃতীয় গোল থেকে বাঁচতে পারেনি বায়ার্ন। ৭৭ মিনিটে হাল্যান্ড গোলমুখের ছয় গজ দূর থেকে আলতো টোকায় ৩-০ করেন। কর্নার থেকে কয়েকটি পাসের পর সতীর্থের ক্রসে ব্যাকপোস্ট থেকে জন স্টোন্স হেড করে বল বাড়ান নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের সামনে। সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে ৪৫ গোল করলেন হাল্যান্ড, যা কোনও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। ৪৪ গোল করা রুড ফন নিস্টলরয় ও মোহাম্মদ সালাহকে পেছনে ফেলেছেন তিনি।

দাপট দেখানো জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল বায়ার্নের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলবে ম্যানসিটি।

দিনের আরেক ম্যাচে ইন্টার মিলান ২-০ গোলে জিতেছে বেনফিকার মাঠে। নিকোল বারেল্লা ও রোমেলু লুকাকুর গোলে সেমিফাইনালের হাতছানি পাচ্ছে ইতালিয়ান দলটি।