সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার সত্যতা না পাওয়ায় বাদী নারীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন কক্সবাজার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। 

বুধবার বিকালে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন এমন আদেশ প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

পিপি ফরিদুল আলম জানান,  এক নারী ৪ জনকে আসামি করে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। একই বছর গত ২৫ জুলাই মামলার আসামি ফিরোজ আহমদ (৪৭), রাসেল উদ্দিন (৩৮), মো. শরীফ (৪৮) ও নুরুল ইসলামকে (৪৮)  অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদানের নিমিত্তে ১৭৩ ধারা মতে আদালতে ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন’ জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরির্দশক (অপারেশন) নাছির উদ্দিন মজুমদার। পুলিশের দাখিল চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদ বাদীর স্বামী। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার্ড কাবিননামামূলে ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য ও বিরোধ দেখা দেয়। মামলার অন্য আসামিরা প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদের বন্ধু ও নিকটাত্মীয়। গত ১৪ মার্চ কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামানো ও নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন রাসেল উদ্দিন, মো. শরীফ ও নুরুল ইসলাম।

পিপি জানান, ১০ আগস্ট পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে বাদীর পক্ষের ‘নারাজি’ দিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার আদালতে আবেদন করা হয়, যা আদালত খারিজ করে দেন। মামলাটি আদালত মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস প্রদান করেন আদালত। মামলা থেকে খালাস পেয়ে ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেন। এ মামলায় গত ১৫ ফেব্রূয়ারি ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। বুধবার মামলাটির রায় প্রদান করা হয়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন