সরকারি কর্মকর্তা বাবা ছেলের হাতে খুন

সরকারি কর্মকর্তা বাবা ছেলের হাতে খুন

প্রতীকি ছবি

রাজধানীর আদাবরের সরকারি কর্মকর্তা ছেলের হাতে বৃদ্ধ বাবা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতরে ছেলে ইফতেখার আলম সুমন (৩৫) কে আটক করেছে আদাবর থানা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদাবরের শেখেরটেক এলাকার ৭ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের নাম মো. নুরুল ইসলাম (৭৪)। তিনি চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর এলাকার বাসিন্দা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতের ছেলে ইফতেখার আলম সুমন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও, তিনি গত ছয় মাস যাবৎ নিয়মিত অফিসে যেতেন না। প্রচন্ড মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাবা ছেলে মিলে আদাবরের শেখেরেটক এলাকার ৭ নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

বাড়ির দাঁড়োয়ান রহিম উদ্দিন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাসার পাশে একটি দোকান থেকে কিছু মালামাল কিনে। এ সময় দাম বেশী নেওয়ার অভিযোগে দোকানের মালিকের সাথে মারামারি করে। তখন আমরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি।

এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার কাছ থেকে বাসা ভাড়া চাইতে গেলে এ সময় আমার তলপেটে লাত্থি মারে দাঁড়ি ধরে টান দেয়। তখন ওইখান থেকে ছুটে এসে আমি এবং বাসার মালিক আদাবর থানায় গিয়ে সাধারণ ডাইরি করতে গেলে আমাদের সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেখতে পায়, খাটের উপর তার বাবার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। পরে পুলিশ তাকে শেখেরটেক মেইন রোডে রিক্সায় ঘুরতে দেখে সেখান থেকে আটক করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, বাড়ির কেয়ারটেকার বাড়ি ভাড়া নিতে আসলে কেয়ারটেকার সাথে ছেলে সুমন খারাপ আচরণ করে। এ সময় কেয়ারটেকারের তলপেটে লাথি মারে এবং  দাড়ি ধরে টেনে বিল্ডিংয়ের নিচে নামিয়ে মারধর করতে থাকে। ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তারা এগিয়ে আসলে আসামি সুমন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

এর এক পর্যায়ে বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকার থানায় জিডি করতে গেলে তাৎক্ষণিক ভাবে আদাবর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নুরুল আলমকে খাটের উপর মরদেহ দেখতে পায়। পরে আমরা মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। এ ঘটনায় আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা আদাবর থানায় নিয়ে আসি।