চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকার জয়

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকার জয়

সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। ১৯০ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুস সামাদ (মোমবাতি) পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

নির্বাচনে অন্যদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী এস এম ফরিদ উদ্দীন (চেয়ার) পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কামাল পাশা (আম) ৬৭৩ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মো. রমজান আলী (একতারা) ৪৮০ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৫ হাজার ৩০৫ জন। যা মোট ভোটের ১৪.৫৪%।

জয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় নোমান আল মাহমুদ বলেন, ‘ভোটাররা নৌকাকে বেছে নিয়েছেন। তাদের হতাশ হতে হবে না। ভোটারদের সকল দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। তার নির্দেশনা মতো নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিশৃঙ্খলা, অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও যারা কেন্দ্রে এসেছেন তাদের স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে দেখা গেছে। যদিও বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট ও এনপিপি’র প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ‘খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। র‌্যাব, বিজিবি, ২২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচনী কর্মকর্তারা সারাদিন চষে বেড়িয়েছেন। একজন প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’