রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না : আইজিপি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না : আইজিপি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না। কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 বুধবার (৩ মে) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ প্রধান এমন কথা বলেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘অপহরণ কিংবা যেকোনো ধরণের অপরাধ সংগঠিত হলে জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার জন্য এলাকার সবাইকে অনুরোধ করব। এই পরিষেবায় আমাদের টিম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা ঘটলে আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তথ্য দিলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা পাবে।’

মিয়ানমারের নিষিদ্ধ ‘আরসা’মুক্ত রোহিঙ্গা শিবির কিভাবে করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে। তাদের (আরসা) বিরুদ্ধেও অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রতি ট্রলারযোগে ১০টি লাশ উদ্ধার বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যেকোনোভাবেই হোক, ১০টি প্রাণহানি হয়েছে। এই ঘটনা শোনার পর পরই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। এখানে সিআইডি টিম, পিআইবি টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কাজ করেছে র‌্যাবও। তারা এখানে এসে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এ নিয়ে আমরা আরো কাজ করে যাচ্ছি। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।’

জলদস্যুদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত খবর রাখছে পুলিশ। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারো কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারেও খবর রাখা হচ্ছে। তারা ভালো হতে চেয়েছে বলে আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আত্মসমর্পণের কথা বলে তারা পুনরায় অপরাধ সংগঠিত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি কক্সবাজার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ১৯ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে পৌঁছেন। ক্যাম্পে পৌঁছার পর তিনি ওই ক্যাম্পের ৮ এপিবিএন কার্যালয়ে যান। ওখানে কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। ওই সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন এবং গাছের চারা রোপণ করেন।

বিকেলে তিনি কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক একটি সভায় যোগদান করেন।