খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সমস্যা; ইবির জিয়া হল ফটকে তালা শিক্ষার্থীদের

খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সমস্যা; ইবির জিয়া হল ফটকে তালা শিক্ষার্থীদের

খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সমস্যা; ইবির জিয়া হল ফটকে তালা শিক্ষার্থীদের

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, খাবারের নিম্নমান, ওয়াইফাই সংযোগ না থাকা ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটসহ নানা সমস্যার সমাধানের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন হলের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ মে) বেলা ১২টা থেকে চার ঘন্টা বিক্ষোভ করেন তারা।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হলটিতে নানা ধরণের সমস্যর মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময়ে সমস্যা সমাধানে দাবি জানিয়েও ফল পাওয়া যায়নি। ঈদুল ফিতরের ছুটির পর সমস্যাগুলো আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে হল গেটে তালা দেন। এসময় তারা ‘ওয়াইফাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি করুন’, ‘বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করতে হবে’, ‘হল প্রভোস্টের দায়িত্বহীনতার জবাবদিহি করতে হবে’, ‘বেতন ভাতা সবই হয়, কাজের বেলায় ফান্ড নাই’, ও ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে হবে নইলে দায়িত্ব ছাড়তে হবে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন ও স্লোগান দিতে থাকেন।

এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আহবানে উপ-উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও শাখা ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপ-উপাচার্য সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ স্থগিত করেন।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হানিফ হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খুবই খারাপ, টয়লেটগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। এছাড়া টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ট্যাপের পানি খেতে হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ যাবত হলে ওয়াইফাই নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকবার প্রভোস্ট স্যারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এজন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হল গেটে তালা দিতে বাধ্য হয়েছে।

শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা বিক্ষোভ চলাকালীন কর্তৃপক্ষের আহবানে প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদের সমস্যার কথা বলি। উপ-উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিবেন। পরে আমরা বিক্ষোভ স্থগিত করি। সমস্যা সমাধান না হলে আমরা আবারো কর্মসূচিতে ফিরে যাবো।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, ফান্ডে তেমন টাকা নেই। ফান্ড গঠন সাপেক্ষে যতদ্রুত সম্ভব এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।