ঘূর্ণিঝড় মোখা : ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি

ঘূর্ণিঝড় মোখা : ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি

ফাইল ছবি

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের সব উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।

পোস্টে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক এই পিএইচডি গবেষক লিখেছেন, বাংলাদেশের সকল উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের হুমকির সম্মুখীন। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে আঘাত করলেও পুরো বাংলাদেশের সকল উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে ঘূর্ণিঝড়টি যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে।

অপর এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার হতে প্রাপ্ত তথ্যে অনুসারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আঘাত করতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।

এদিকে ৮নং বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘণীভূত হতে পারে।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।