কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষী ব্রাজিল ফুটবল

কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষী ব্রাজিল ফুটবল

ফাইল ছবি

বিশ্ব দরবারে পরাশক্তি দলগুলোর মধ্যে একটি ব্রাজিল। তাদের ঝুলিতে আছে পাঁচবার বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলার রেকর্ড। এছাড়া কিংবদন্তি ফুটবলারদের সুবাদেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে লাতিন আমেরিকার এই দেশটি। তবে এবার সব সাফল্যকে ছাপিয়ে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে ব্রাজিলের ফুটবলাররা।

ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগে বিভিন্ন খেলায় ১৩টি ম্যাচ পাতানো হয়েছে এমন সন্দেহে জাতীয় ভাবে তদন্তে নামছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি তাদের ফুটবল ফেডারেশনের অনুরোধে এমন তদন্তে নামছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আটটি গত বছরের ব্রাজিলিয়ান লিগের। আর ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন সান্তোস, য়্যুভেন্তুদে ও কুইয়াবার মতো ক্লাবের ফুটবলাররা। যাদের মধ্যে পাঁচজনকে বুধবার (১০ মে) নিষিদ্ধ করেছে তাদের ক্লাব। 

ব্রাজিলের আরও কিছু ক্লাব তাদের অনেক ফুটবলারকে বরখাস্ত করেছে যার সংখ্যা প্রায় ১৬ জন। এদের মধ্যে সাতজনই পেশাদার ফুটবলার। এছাড়া গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে ব্রাজিলে খেলাধুলায় জুয়া বৈধ করার পর এটিই হতে যাচ্ছে তাদের ইতিহাসে বড় কেলেঙ্কারি।  

অন্যদিকে ২০২২ সালে লিগের বিভিন্ন ম্যাচে পাতানো হয়েছে সন্দেহে উদ্বেগ জানায়। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে এসব ফুটবলার সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে পারেন বলেও ব্রাজিলের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়। এদিকে নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের একজন সান্তোসের এদুয়ার্দো বউয়ারম্যান পাতানো খেলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছেন এমন আলাপচারিতা প্রকাশ করেছে গ্লোবো টিভি।

এছাড়া বিচার মন্ত্রী দিনো বলেন, ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশের কাছে পাতানো খেলার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এর আগে এথলেটিকো ক্লাব তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায়, ২০ বছর বয়সী লেফট ব্যাক পেদ্রিনহো এবং ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ব্রায়ান গার্সিয়াকে তারা স্বত:প্রনোদিত হয়ে বরখাস্ত করেছে এমন অপরাধে জড়িত সন্দেহে।  

আর এ নিয়ে দেশটির বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও দিনো জানিয়েছেন, তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক ভাবে এর প্রভাব পড়তে পারে। অপরদিকে এক বিবৃতিতে সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজ বলেন, ‘ফুটবলে সব ধরনের অপরাধ, জালিয়াতি ও অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমি বিভিন্ন ফেডারেশন, ফিফা ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। অপরাধীরা ব্রাজিলিয়ান কিংবা বৈশ্বিক ফুটবলের অংশ নয়।’