১১ বছর পর সৌদি সফরে বাশার আল-আসাদ

১১ বছর পর সৌদি সফরে বাশার আল-আসাদ

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ

দীর্ঘ ১১ বছর পর সৌদি আরব সফরে গেলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো আরব লীগের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সৌদির বন্দর নগরী জেদ্দায় পৌঁছান তিনি। আজ (শুক্রবার) সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লীগ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এই সফর উপলক্ষে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাশার আল-আসাদ আরব লীগের ৩২তম সম্মেলনে যোগ দিতে জেদ্দার উদ্দেশে দামেশক ত্যাগ করবেন।

সম্প্রতি কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লীগের বৈঠকে এই সংস্থায় সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়। পরবর্তীকালে সৌদি বাদশাহ আনুষ্ঠানিকভাবে বাশার আল-আসাদকে আরব লিগের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের এই সৌদি সফরে।

আরব বসন্তের প্রেক্ষাপটে বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান পরিচালনা করায় আরব লিগ আল-আসাদ এবং তার সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে বর্তমানে বেশির ভাগ আরব দেশ সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাজি হওয়ার প্রেক্ষাপটে আসাদ আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব গেলেন।

সৌদি আরব সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় আল-আসাদকে উৎখাত করতে সশস্ত্র বিরোধীদের সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু এখন রিয়াদ সংলাপের মাধ্যমে সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছে। রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় আল-আসাদের সৈন্যরা সিরিয়ার বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন তাদের হাতে।

আল-আসাদের বাবা হাফিস আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই সিরিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। তারপর ২০১২ সালে সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। তবে গত সপ্তাহে দুই দেশ তাদের দূতাবাস আবার খুলতে সম্মত হয়।

সূত্র: আল-জাজিরা