উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশকে একসময় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মেডিকেল, হেলথ ট্যুরিজম এবং খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এগিয়ে আসার কারণে দেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। নীতি নির্ধারণসহ বেসরকারি খাতকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেই এ উন্নয়ন হয়েছে। এভাবে সরকারি-বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তাই কাওকে পিছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনসাধারণের উন্নয়নের জন্যই শুধু নয় বরং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে কাজ করছেন। তার দায়বদ্ধতা, আন্তরিকতা ও নীতি নির্ধারণ বিশ্বনেতাদের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও আইএমএফ প্রধানও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ভিশন ও মিশন থাকতে হয় সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী করে দেখিয়েছেন। তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। বর্তমানে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা শঙ্কা করেছিল করোনায় বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নীতি এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মহামারি সত্ত্বেও দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করছি। ফলে খাদ্য জাতীয় পণ্য তথা ধান, গম, ভুট্টা, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম এমন উৎপাদন হয়েছে এবং এর গুণগতমান এত ভালো যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে এখন অনেক কিছু আমদানি করছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মাছ এখন বিশ্বের ৫২টি দেশে রপ্তানি হয়। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে মাংস আমদানি করতে চাইছে। দেশে উৎপাদিত নানান ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ পৃথিবীর বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওষুধ শিল্পে যান্ত্রিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য গবেষণায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের বিস্ময়।