কয়লা সংকটে ধুঁকছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, উৎপাদন বন্ধ

কয়লা সংকটে ধুঁকছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, উৎপাদন বন্ধ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিয়ন কয়লা সংকটের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির বিল পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ রয়েছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত। ডলার সংকটে কয়লার ৩৯০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয় পড়বে। সাধারণ মানুষ যেমন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়বে এর পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজগুলোতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়,  চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। কেন্দ্রটি চালানোর জন্য কয়লা কিনতে ঋণ দিয়ে আসছে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। এপ্রিল পর্যন্ত কয়লার ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সিএমসি। এতে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা আমদানি শুরু হলেও কয়লা আসতে সময় সময় লাগবে আরও ২৫ দিন। তাই ৪ জুন থেকে বন্ধ থাকবে পুরো বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে পারে পুরো দেশ। 

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, কয়লা সংকেট আমরা ২৫ মে প্রথম ইউনিট বন্ধ করেছি। বর্তমানে ৪০ হাজার টন কয়লার মজুদ আছে। আগামী ৩ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত আমরা এই কয়লা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালাতে পারবো। এরপরে দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধ হয়ে যাবে। এটা একটি সাময়িক সংকট। সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফের কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করা যাবে।