শ্রীলংকা পর্যটন সহযোগিতাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চায় : হাইকমিশনার

শ্রীলংকা পর্যটন সহযোগিতাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চায় : হাইকমিশনার

শ্রীলংকা পর্যটন সহযোগিতাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চায় : হাইকমিশনার

বাংলাদেশে শ্রীলংকার হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন সেনেভিরত্বে বলেছেন, তার দেশ দুই বন্ধুপ্রতিম দেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য অপার সম্ভাবনা, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক প্রত্বতত্ত্বকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে আরও সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সাথে আমাদের ইতিমধ্যে কিছু সহযোগিতা চলমান রয়েছে ... আমরা এটিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চাই।’

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (এটিএবি) আয়োজিত শ্রীলংকার ভিজিটিং ট্যুর অপারেটর এবং স্থানীয়  ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) নেটওয়ার্ক সেশনে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।

হাইকমিশনার বলেন, শ্রীলংকার সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বে দক্ষতা রয়েছে এবং তারা বাংলাদেশকে তাদের বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম সেক্টরের জন্য এই অব্যবহৃত খাতটি অন্বেষণে সহায়তা করতে আগ্রহী। সেনেভিরত্বে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ  নৌপথের পর্যটন শ্রীলংকার পর্যটকদের এখানে ভ্রমণে আকৃষ্ট করতে একটি ভালো পণ্য হতে পারে।  

এটিএবি মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ বিটুবি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং এটিএবি ও শ্রীলংকা ট্যুরিজম বোর্ড নিজ নিজ পক্ষ থেকে তাদের দেশের উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে এটিএবি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আফসিয়া জান্নাত সালেহ, ঢাকায় শ্রীলংকার ডেপুটি হাইকমিশনার রুওয়ান্থি ডেলপিটিয়া, শ্রীলংকান ট্যুরিজম বোর্ডের পাউবিক রিলেশন ডিরেক্টর মাদুভানি পেরেরা এবং শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার শারুকা বিক্রমা আদিত্তিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পেরেরা বলেন, শ্রীলংকান পর্যটন বোর্ড এই বছর শ্রীলংকায়  ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটককে গ্রহণ করতে চায়, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার  এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৫ হাজার পর্যটক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বলেন, ভারত ও নেপালের সাথে শ্রীলংকার ‘ধর্মীয় সংস্কৃতি’ ধারার পর্যটন অঞ্চল রয়েছে এবং বর্তমানে তারা এই ধরনের অঞ্চলে বাংলাদেশকেও যুক্ত করতে চায়, যাতে শ্রীলংকার তীর্থযাত্রীরা অন্যান্য দুই প্রতিবেশী দেশের সাথে বাংলাদেশ সফর করতে পারে।

শ্রীলংকার পর্যটন বোর্ডের পরিচালক বলেন, তার দেশের পর্যটন গন্তব্য বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য অনেক কিছু দিতে পারে, কারণ দ্বীপগুলোতে সমুদ্র সৈকত, বিশ্ব ঐতিহ্য, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, সাফারি এবং অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কলম্বো ফ্লাইট চলাচল করছে। 

শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার শারুকা বিক্রমা আদিত্তিয়া বলেন, তাদের এয়ারলাইন্স শুধু শ্রীলংকার পর্যটনের প্রচারই করছে না, শ্রীলংকার যাত্রীদের লোভনীয় ছুটির প্যাকেজ দিয়ে বাংলাদেশে ভ্রমণে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

সূত্র : বাসস