তিন মাস পর বেনাপোল দিয়ে এল ৭৫ টন পেঁয়াজ

তিন মাস পর বেনাপোল দিয়ে এল ৭৫ টন পেঁয়াজ

সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাসেরও বেশি সময় পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তিনটি ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি করা ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে। 

বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি চালানে এই পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির নির্দেশনা এসেছে। আইপি দেখালে আমরা এখান থেকে উদ্ভিদ সংগনিরোধ সার্টিফিকেট ইস্যু করছি। রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমদানিকারকের পক্ষে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ছাড়পত্রের আবেদন করে। সন্ধ্যার পরে বন্দর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে ট্রাক তিনটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। 

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। কৃষি মন্ত্রণালয় সোমবার থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাস নিতে পারেন সে জন্য বলা হয়েছে। 

সোমবার সকাল থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমোদন শুরু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এদিন ২১০টি আইপি আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। এতে আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম দিনে ২ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। 

বাজারে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর আগে কৃষকের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।

গত ২১ মে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমদানি ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করছে। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করছি।’