আমদানির ঘোষণা করার ফলে দাম কমেছে পেঁয়াজের

আমদানির ঘোষণা করার ফলে দাম কমেছে পেঁয়াজের

সংগৃহিত ফাইল ছবি।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ঘোষণায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। গত রবিবার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ঘোষণার পরের দিন গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ঢাকার শ্যামবাজারসহ বড় বড় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

গতকাল ঢাকার শ্যামবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে খুচরা বাজারে গতকালও ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরো বলছেন, খুচরা বাজারেও শিগগিরই দাম কমে আসবে।

মাত্র মাস দেড়েকের ব্যবধানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকায় পৌঁছে।

সরকার গত মার্চে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার পর থেকে এই ভোগ্য পণ্যের বাজার বেসামাল হতে থাকে। চড়তে থাকে দাম। এরপর টনক নড়ে বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের।

 

আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও সেই পেঁয়াজ দেশের বাজারে এখনো পৌঁছেনি।

এর আগেই কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল সকালে পেঁয়াজ বিক্রির দর ছিল কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা। ক্রেতা না থাকায় দুপুরে দাম ৬৫ টাকায় নেমে আসে। বিকেল নাগাদ দাম আরো কমে ৬০ টাকায় নামে। অথচ এক দিন আগে রবিবার বিকেলে খাতুনগঞ্জের আড়তে দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ৯৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

খুচরায় দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি আবেদন অনুমোদন করার প্রথম দিন গতকালই ২১০টি আইপি আবেদন অনুমোদন দিয়েছে। এতে পেঁয়াজের পরিমাণ দুই লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এখন প্রতিদিনই এ হারে পেঁয়াজের আইপি অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাজধানীর শ্যামবাজারের আদা-পেঁয়াজের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, রবিবার এই পাইকারি বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। অথচ গতকাল বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

পাইকারি বাজারে দাম কমলেও গতকাল খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজধানীর কল্যাণপুর নতুন বাজারের বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম কমলেও সেই পেঁয়াজ এখনো আমাদের হাতে আসেনি। আমরা এখনো আগের বেশি দামের কেনা পেঁয়াজই বিক্রি করছি।’

হিলি বন্দর দিয়ে ৪০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ : আড়াই মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৪০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে এসেছে বলে হিলি স্থলবন্দর সূত্র জানায়। ১০ হাজার টাকা জরিমানা : নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে একটি আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হাজার টন পেঁয়াজ : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পথে আবারও শুরু হয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। দীর্ঘ ৮১ দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর গতকাল ৫৬টি ট্রাকে এক হাজার ৫৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকেছে।