চা খাওয়ার কথা বলে হলে ফিরেনি প্রশাসনের কর্তারা

চা খাওয়ার কথা বলে হলে ফিরেনি প্রশাসনের কর্তারা

চা খাওয়ার কথা বলে হলে ফিরেনি প্রশাসনের কর্তারা

তালা ভেঙ্গে হলের কক্ষে প্রবেশ, ছাত্রীদের সাথে আবাসিক শিক্ষকদের রূঢ় ও অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হলের নানা সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৫ জুন) রাত ১০ টায় হলের সামনের রাস্তা অবরোধ করে এ আন্দোলন করেন তারা। আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা 'তালা ভেঙ্গে রুমে ঢোকা, এই রীতি আমরা মানবো না’, ‘অনুমতি কেন নাও না, হল কারো বাপের না’, ‘হলের জন্য প্রাধ্যক্ষ, প্রাধ্যক্ষের জন্য হল না’, ‘স্বৈরাচারী হল প্রশাসন, চাই না! চাই না!' এসব স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমান। এসময় প্রক্টোরিয়াল বডিও সেখানে উপস্থিত হন। এসময় হলের বাহিরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদেরকে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আলোচনার জন্য হলের ভেতরে অবস্থান করতে বলেন হল প্রশাসন। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষকগণ সেখান থেকে চলে যান। পরবর্তীতে প্রভোস্ট সাহেদুর রহমান ও সহকারি প্রক্টর কাজী এম. আনিছুল ইসলাম চা খাওয়ার কথা বলে হলের বাইরে গিয়ে হল গেইটে তালা দিতে বলেন।

 এদিকে দাবী মেনে না নেওয়ায় পরবর্তীতে হল গেইটে (ভেতরে) সারারাত অবস্থান নেন তিনজন শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত প্রশাসন থেকে তাদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, ‘আমরা যখন হলের বাহিরে অবস্থান করি তখন প্রভোস্ট স্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আমাদের হলের ভিতরে যেতে বলেন। আমরা যখন হল গেটের ভিতরে যাই তখন প্রশাসন আমাদের দাবী মেনে নেয়নি। কিছুক্ষণ পর তারা চা খাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি এবং পরবর্তীতে আমাদের খোঁজও নেননি।

আমরা এখন ভিসি স্যারের কাছে অভিযোগ নিয়ে যাব। যদি দেখা করতে না পারি তাহলে আমরা আবার হলের সামনে অবস্থান নিব।’ এবিষয়ে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট মো: সাহেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সমাধানের জন্য গিয়েছি কিন্তু তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘হল থেকে ইলেক্ট্রনিক হিটার, রাইস কুকার উদ্ধার করতে যাই। এসময় একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে রাইস কুকার উদ্ধার করা হয়।’ হল প্রশাসন তালা ভাঙ্গতে পারে কি না! শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি বিশেষ শর্তাবলির জন্য তালা ভাঙ্গা যায়।’ চা খাওয়ার কথা বলে ফিরে না আসার বিষয়ে বলেন, ‘আমি একথা বলিনি। যদি বলে থাকতাম তাহলে অবশ্যই আমি সেখানে যেতাম।’ প্রসঙ্গত, গতকাল (৫ জুন) হল প্রশাসন হল থেকে ইলেক্ট্রনিক হিটার, রাইস কুলার উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।