আপাতত বিচারপতি পদে ফিরতে পারছেন না আলতাফ-ফরিদ

আপাতত বিচারপতি পদে ফিরতে পারছেন না আলতাফ-ফরিদ

ফাইল ছবি

সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে আপাতত তারা বিচারপতি পদে ফিরতে পারছেন না।

বুধবার সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো: নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

এর আগে সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনকে হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে দু’টি রিট করলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আলতাফ হোসেন নিজে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান রিট দু’টি করেন।

২০১২ সালের ১৩ জুন এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনকে দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শপথ নেয়ার দিন থেকে ওই নিয়োগ কার্যকর হবে জানানো হয়। পরদিন তারা শপথ নেন। ওই বছরের ৯ জুন তাদের মধ্যে পাঁচজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ পড়েন এ বি এম আলতাফ হোসেন।

আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ২০১২ সালের জুলাই মাসে একটি রিট করেন। পরে আলতাফ হোসেন নিজে আরেকটি রিট করেন।

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ফরিদ আহমেদ শিবলীসহ ১০ জন। এদের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মারা যান। নয়জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠালে শিবলীকে বাদ দিয়ে আটজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বাদ পড়া বিচারপতি শিবলী স্থায়ী নিয়োগ পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিচারপতি শিবলী।