বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার

বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার

সংগৃহীত

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে।বৃহস্পতিবার জেনেভায় হোটেল প্রেসিডেন্টের সভাকক্ষে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎকালে ডব্লিউটিও-এর মহাপরিচালক ড. ওকোনজো ইওয়েলা এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।

তিনি ডব্লিউটিও মহাপরিচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তার সংস্থা এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একটি চুক্তি করতে আগ্রহী।

মোমেন বলেন, যদিও বাংলাদেশ মৎস্য খাতে ব্যাপক ভর্তুকি দেয় না, আমরা বলেছি যে আমরা এটা (ভর্তুকি ইস্যু) বিবেচনা করব।

ডব্লিউটিও প্রধান সংস্থাটির বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থার কথা উল্লেখ করেন, যা কয়েকটি বড় দেশের কারণে কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

মোমেন জানিয়েছেন, ওকোনজো ইওয়েলা আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি উত্থাপনের অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে তিনি যেভাবে বলেছেন, ‘এটাই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান শক্তি।’

ডব্লিউটিও-এর মহাপরিচালক বাংলাদেশকে এর বিশেষজ্ঞদের ঝুড়িতে বৈচিত্র্য আনতে বলেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি চেয়েছেন যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করবে।

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে।

তিনি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে জাপান, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে মালদ্বীপ ও জাপানের সাথে কথা বলেছেন।

এর আগে কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন।

তিনি বলেন, তার দেশে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশী কাজ করছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী শ্রমিকদের পারফরম্যান্সে তারা সন্তুষ্ট।

মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার। তারা এই উদ্দেশে একটি চুক্তি সই করবে।’ সূত্র : ইউএনবি