ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কারকাজ ১০ দিন বন্ধ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কারকাজ ১০ দিন বন্ধ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় চলমান সড়ক সংস্কারকাজ

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় চলমান সড়ক সংস্কারকাজ ১০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত মহাসড়কের সংস্কারকাজ বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।

ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, সংস্কারকাজের কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হতো। এদিকে কোরবানির আগমুহূর্তে প্রচুর পশুবাহী গাড়ি মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া ঘরে ফেরা মানুষের যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সে জন্য সংস্কারকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। ১০ দিনের জন্য সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা অনেক কমে যাবে। এর ফলে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে মানুষ।

 

এছাড়া মহাসড়কে চাঁদাবাজি কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পেলে হাইওয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। তাঁরা আপাতত মহাসড়কের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে স্বেচ্ছাসেবক বাড়িয়েছেন। আগে দুটি টহল দল ছিল। এখন আরও একটি দল মহাসড়কে কাজ করবে বলে জানান বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, প্রায় প্রতিদিনই মহাসড়কের সংস্কারের কাজের অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো এই যানজট ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। এই ১০ দিন যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি বা দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে গাড়ি অচল হয়ে না পড়লে যানজটের আশঙ্কা নেই।

সংস্কারকাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ বলেন, বর্ষায় মহাসড়কের অনেক স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হতে পারে। সে জন্য বর্ষা পুরোপুরি শুরুর আগে যতটুকু পারা যায়, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংস্কারকাজ শেষ করার তাগাদা ছিল তাঁদের। কিন্তু জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ৩ জুলাই পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই তাঁরা আর আপাতত সংস্কারকাজ করছেন না।