প্রায় ১৫শ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

প্রায় ১৫শ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

সংগৃহিত ছবি।

প্রায় দেড় হাজার মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থসেবা, চক্ষু পরীক্ষা, ডায়াবেটিক টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা সাশ্রয় মূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

গত ২২ ও ২৩ জুন এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকার রাওয়া ক্লাবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।

দুইদিন ব্যাপী এই আয়োজনে প্রায় ১৫০০ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ বিনামূল্যে স্বাস্থসেবা, চক্ষু পরীক্ষা, ডায়াবেটিক টেস্ট সহ অন্যান্য পরীক্ষা সাশ্রয় মূল্যে প্রদান করা হয়েছে। এতে মেডিকেল পার্টনার হিসাবে সহযোগিতা করেছে খিদমা এই হাসপাতাল ও প্রভা হেলথ। এতে এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশন হেলথ কার্ড ব্যবস্থা করা হয়। এতে প্রায় ৮টি দেশি ও ৩টি বিদেশি হাসপাতাল, ল্যাব ইত্যাদি চিকিৎসা সেবায় মূল্যছাড় পাওয়া যাবে।

মেডিএক্সপোর সমাপনী দিনে মা ও শিশু বিষয়ক ডাক্তারি পরামর্শ ও স্বাস্থবিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম۔ সাফাক হোসেনের পরিচালনায়, ফাউন্ডেশনের জনসংযোক ডিরেক্টর সুমাইয়া জামানের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, গেস্ট অফ অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার হার এক্সসেলেন্সি হাজনা মো. হাসিম, নেপাল এম্বাসির দ্বিতীয় সচিব রঞ্জাব ইয়াদাভ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ার লে. কর্নেল ডা রেহানা খানম (অব), প্রফেসর মেজর (অবঃ) ডা লায়লা আরজুমান্দ বানু, প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল মান্নান, ডা. কানিজ ফাতেমা, ডা. মোমেনা বেগম, প্রফেসর ডা. অনুপম হোসেন, ডা. তাহমিনা করিম, লে. কর্নেল (অব.), বেগম নাজনীন।

আলোচনা সভায় মূলত মা, শিশু ও পুষ্টি নিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ সেবা ও সচেতনতা, রোগব্যধি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের দিক গুলি তুলে ধরা হয়। বর্তমান আধুনিক যুগে বাংলাদেশ কিভাবে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার পূর্বের চেয়ে কমিয়ে আনা হয়েছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেরিন্টাল সোসাইটির ডাক্তার সদস্যদের অবদানের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশের মতন উন্নত চিকিৎসা সেবায় ডাক্তারদের কেমন অবদান থাকতে পারে এসকল বিষয় নিয়েও সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।

আলোচনায় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি, শিশু স্বাস্থ, শিশু কার্ডিওলজি, অটিজম ও নিউরোলজি, হেমাটোলজি, পুষ্টি ও জনস্বাস্থ বিষয় নিয়ে আলোকপাত হয়।

আলোচনার শেষে মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার হার এক্সসেলেন্সি হাজনা এমডি হাসিম জানান, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চিকিৎসা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবসময় পাশেই ছিল, নিজস্ব রিসোর্স দিয়ে চিকিৎসা সেবা, ভ্যাকসিন, রোগব্যধি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় দুপাক্ষিক মেডিকেল একচেঞ্জের মাধ্যমে আরো বাস্তবায়ন করা যাবে। ইতিমিধ্যে মালয়েশিয়া হেপাটাইটিস সি মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করেফেলেছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশকেও সহায়তা করবে।

নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সেক্রেটারি মি. রঞ্জাব ইয়াদাভ বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে, নেপাল থেকে অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ এ মেডিকেল পড়তে আসে, বাংলাদেশে অনেক রিসোর্সফুল ডাক্তার আছেন যারা মেডিকেল এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। আমরা এরকম ডাক্তারদের সহায়তায় নিজেদের দেশের চিকিৎসা আরো আধুনিকায়ন করার সুযোগ পাবো।

প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের চিকিৎসার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন, পূর্বের চেয়ে বর্তমানে আধুনিকায়নের কোথাও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও ইমার্জেন্সি মেডিকেল ক্যাম্প, মেডিকেল সহায়তায় কি কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটিও তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটির সদস্য ডাক্তারদের চিকিৎসা খাতে তাদের অবদানকে প্রশংসা করেছেন এবং তার মন্ত্রলয়ের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এই আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংগ্রহণ করছে যেমন মেডিকেল, ফার্মাসিউটিকাল, মেডিকেল ট্যুরিজম, ইরান আইভিএফ এবং দেশি বিদেশী হাসপাতাল ও মেডিকেলসেন্টার।

এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশন একটি সরকার অনুমোদিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সামাজিক উন্নয়ন, চিকিৎসা, শিক্ষা, জলবায়ু এই সকল বিষয়ে গবেষণামূলক ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে আসছে।

আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল জাতিসংঘ সমিতি, লুটন, যুক্তরাজ্য; বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটি; কমিউনিকেশন এন্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ১০০ মিনিট এক্সপার্ট টক্স বাই এইচ এইচ এফ।