৫ ভাগ প্রণোদনায় অতিরিক্ত ব্যয় হবে ২৫০০ কোটি টাকা

৫ ভাগ প্রণোদনায় অতিরিক্ত ব্যয় হবে ২৫০০ কোটি টাকা

ফাইল ছবি

সরকারি চাকুরেদের পাঁচ শতাংশ বিশেষ ভাতা দেয়ার জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ আগামী অর্থবছরের বাজেট থেকে সঙ্কুুলান করা হবে। বর্ধিত ভাতা বাস্তবায়ন হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বক্তব্য দেয়ার সময় সরকারি কর্মচারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নতুন করে প্রণোদনা দেয়ার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকারি কর্মচারী যারা আছেন, তাদের বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ আপৎকালীন সময়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। অর্থমন্ত্রী আশা করি বিষয়টি গ্রহণ করবেন।
আমরা পাঁচ শতাংশ মূল বেতন বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে তাদের দেবো।’ অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র গতকাল জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীরাদের সাধারণভাবেই পাঁচ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) তাদের বেতনের সাথে যোগ হয়ে থাকে। এখন আরো অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ যোগ হবে। অর্থাৎ তাদের বেতন বাড়ছে ১০ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর অর্থ বিভাগ থেকে ঈদের পর এ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে। এরপর তা অনুমোদনের জন্য যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। তারপর তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে।

জানা গেছে, জুলাই শেষে যখন জুলাই মাসের বেতন তুলবেন সরকারি কর্মচারীরা, তার মধ্যে বাড়তি প্রণোদনার অর্থও যোগ হবে। এর আগে ২০১৫ সালের বেতন কমিশনে বলা ছিল, প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হবে সরকারি কর্মচারীদের। সে অনুযায়ী তা হয়েও আসছে। ২০১৫ সালে মূল্যস্ফীতির হার গড়ে পাঁচ শতাংশ ছিল বলেই ইনক্রিমেন্ট একই হারে বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। এখন মূল্যস্ফীতি বেশি বলেই ইনক্রিমেন্টের হার বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা বাবদ ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে করা হয় ৭৩ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা।

বাজেটের সংক্ষিপ্তসার ২০২৩-২৪ অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮১ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা।