আরো ২৫ দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহী!

আরো ২৫ দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহী!

সংগৃহীত

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকসে আরো ২৫টির মতো দেশ যোগ দিতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। গ্রুপটি নিজেও সুযোগটি লুফে নিয়ে সম্প্রসারিত হতে চাচ্ছে।

বহুমেরুর দুনিয়া গঠনের প্রয়াসে ২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন ব্রিকসের সূচনা করে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এতে যোগ দেয়। এর লক্ষ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা।

গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭), জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈষম্যমূলক কাঠামো ও প্রস্তাবের সমালোচনা করে ব্রিকস আন্তর্জাতিক কাঠামো সংস্কার করা এবং বহুমুখী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।

ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ৪২ ভাগ হলেও বৈশ্বিক রফতানিতে তাদের হিস্যা মত্রা ১৮ ভাগ। অন্য দিকে জি-৭ ভুক্ত পাঁচটি দেশের জিডিপি এর চেয়ে অনেক বেশি।

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ব্রিকসের বৈশ্বিক জিডিপি ২০১০ সালের ১৮ ভাগ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ২৬ ভাগ। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্রিকস পাশ্চাত্যকেন্দ্রিক জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো থেকে আলাদা নীতি গ্রহণ করে আসছে।

অধিকন্তু, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা অব্যাহতভাবে বিকশিত হচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে।

ব্রিকস ২০০৯ সাল থেকে তাদের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে যাচ্ছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন। ২০১৫ সালে ব্রিকস নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) প্রতিষ্ঠা করে। এর লক্ষ্য ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঋণ প্রদান করা। এটি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংকের মতো পাশ্চাত্য-সমর্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা।

ব্রিকস বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর ফলে বেশ কয়েকটি দেশ এর সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেলারুশ, আলজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, মিসর, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সেনেগাল, সুদান, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, তিউনেশিয়া, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে।


এছাড়া আর্জেন্টিনা, আলজেরিয়া, ইরান ও মিসর যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে।
ব্রিকস নেতারা ২২-২৪ আগস্ট অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর