৩৬ তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিলেন নোয়াখালীর ডিসি

৩৬ তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিলেন নোয়াখালীর ডিসি

সংগৃহীত

মাত্র ১১২ টাকার ব্যাংক ড্রাফটে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনে চাকরি পেলেন ৩৬ তরুণ-তরুণী। বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে তারা আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঘুষ ছাড়া চাকরি দিয়ে ধারণা পাল্টে দিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। গত রোববার নিজ সম্মেলন কক্ষে ৩৬ তরুণ-তরুণীর হাতে ফুল ও নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আওতায় ৩৬টি ৪র্থ শ্রেণির শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জন আবেদনকারী। এর মধ্যে অফিস সহায়ক ১৮ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ৭ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৯ জন, বেয়ারা ১ জন ও সহকারী বাবুর্চি পদে ১ জন রয়েছেন।

অফিস সহায়ক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ফাহিমা আক্তার বলেন, মাত্র ১১২ টাকা খরচে চাকরি পাবো স্বপ্নেও ভাবিনি। যেহেতু ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়েছি তাই আজীবন ঘুষ ছাড়া মানুষকে সেবা দেব, ইনশাল্লাহ। 

হেদায়েত উল্যাহ নামের আরেক নিয়োগপ্রাপ্ত বলেন, আমার সরকারি চাকরির বয়স শেষ। এই সময়ে চাকরিটা আমার জন্য সোনার হরিণ ছিল। এছাড়াও শুনেছি সরকারি চাকরি মানে ঘুষের ছড়াছড়ি। কিন্তু আমার পদে চাকরির জন্য কাউকে এক টাকাও ঘুষ দেওয়া লাগেনি। 

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক নিয়োগপ্রাপ্ত বলেন, আমাদের সামর্থ্য নেই টাকা পয়সা দিয়ে চাকরি নেওয়ার। ১১২ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। অনেকেই হতাশ করেছে ঘুষ ছাড়া চাকরি হবে না বলে কিন্তু ঘুষ ছাড়াই সরকারি চাকরি আমি পেয়েছি। এজন্য জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩৬ পদের জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আমরা লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা শেষে আজ নিয়োগপত্র তুলে দিলাম। যোগ্যতা ও দক্ষতার বিচারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তারা বিনা টাকায় নিয়োগ পেয়েছে তারা যেন বিনা টাকায় মানুষের সেবা করে। 

তিনি আরও বলেন, যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের দেশের জন্য অনেক কিছু করার আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে স্মার্ট হতে হবে। নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্বটুকু পালন করলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।