ডুবছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

ডুবছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

সংগৃহীত

কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠা শুরু হয়েছে। সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন জনপদের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা ও ধলাইসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সকল নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে টানা ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে বিকেলে বৃষ্টিপাত থামায় পানি কিছুটা কমেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রবিবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১১.৭৭ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৬৫ মিটারে। একই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৯.৯৪ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় বেড়ে দাঁড়ায় ৯.৯৬ মিটারে। কুশিয়ারা নদীর পানি গেল ২৪ ঘন্টায় সবকটি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারার পানি শেওলা পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ১০.৮১ মিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বেড়ে ৯.১৫ মিটার, শেরপুরে ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে ৭.৮০ মিটারে দাঁড়িয়েছে। তবে লোভাছড়া ও সারি নদীর পানি কমলেও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন জানিয়েছেন আগামী কয়েকদিন সিলেট অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদিকে, টানা বর্ষণের কারণে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া শুরু করেছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম ইসলামপুর, উত্তর ও দক্ষিণ রণিখাই, তেলিখাল এবং ইছাকলস ইউনিয়নের নিচু এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের লোকজন নৌকা দিয়ে চলাফেরা করছেন। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এসব ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

এছাড়া সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও, খাদিমনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকরসহ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। 

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, সিলেটের কোন উপজেলায় এখনো বন্যা হয়নি। তবে বন্যা হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যা হলে উদ্ধার তৎপরতার জন্য বড় নৌকা কেনা হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।