কাশিমপুর থেকে পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর

কাশিমপুর থেকে পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর

সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা পাঠানো হয় বলে জানান কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রায় ৪০ মাস ধরে বন্দি আছেন। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রুনা লায়লা নামে এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করেন। তার কাছ থেকে টাকা পয়সা লুট করে নেন।

এ বিষয়ে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। পরে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সোমবার তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানে হয় বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।