অনির্ধারিত পর্বত-চূড়া, ইন্দো-চীন সীমান্তে ৩ বছর ধরে অস্থিরতা

অনির্ধারিত পর্বত-চূড়া, ইন্দো-চীন সীমান্তে ৩ বছর ধরে অস্থিরতা

সংগৃহীত

চীন ও ভারতের যে-সীমান্ত সমস্যার ফলে ২০২০ সালে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছিল তা সমাধান করার কূটনৈতিক উদ্যোগ যখন সামান্য এগিয়েছে তখন এই দুই দেশ তাদের দাবিকে জোরালো করার জন্য সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করার দিকে এগোচ্ছে।

ছয় মাস ধরে ধারণ করা উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, আলগাভাবে চিহ্নিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চীনের দিকটায় তাদের উপস্থিতি ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই প্রকৃত লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা আকসাই চীনের বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলে দেশগুলোর মধ্যে প্রকৃতপক্ষে সীমান্ত হিসেবে কাজ করে।

যেখানে আগে ছড়ানো-ছেটানো চেকপয়েন্ট বা তল্লাশি চৌকি ও সাধারণ সামরিক ঘাঁটি দেখা যেত, সেখানে চীন এখন ‘সড়ক, আউটপোস্ট ও আধুনিক আবহাওয়া-নিরোধক শিবির গড়ে তুলেছে। এই শিবিরে রয়েছে গাড়ি রাখার জায়গা, সৌর প্যানেল ও হেলিপ্যাড ইত্যাদি।’ চ্যাট্যাম হাউজ রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা গেছে।

চীনের পরিকাঠামো নির্মাণের সাথে পাল্লা দিতে ভারতও উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, এদের দিকে কাজের গতি অনেক কম। লাদাখ স্বশাসিত পর্বত উন্নয়ন পরিষদের সীমান্ত নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি কনচক স্ট্যানজিন ব্যাপক পরিমাণে ভারতীয় সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি বড়রকম উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘পাল্টা পরিকাঠামো নির্মাণের গতি এখনো ধীর এবং সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগের এখনো অভাব রয়েছে।’

উল্লেখ্য, ভারতীয় লাদাখ অঞ্চলের বৃহত্তম শহর লেহ। আকসাই চীনকে তারা নিজেদের অংশ বলে দাবি করে।

এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে বেইজিং। তিব্বত ও পশ্চিম জিনজিয়াং প্রদেশের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গাকে তারা শাসন করে। যদিও উচ্চতা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য, তাহলেও ওই দুই অঞ্চলের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র তৈরি করেছে অঞ্চল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে