মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

সংগৃহীত

মশা মারতে কামান নয় এবার মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। আর তাতে ধরা পড়ল বহুতল ভবনের সুুইমিংপুল আর ছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে গড়ে ওঠা মশার আবাসস্থল। রবিবার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে চালানো অভিযানে উঠে আসে এ চিত্র।

সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে ড্রোন দিয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদ পর্যবেক্ষণ করে প্রায় সবগুলো ভবনের ছাদেই পানি জমে থাকতে দেখেছি। আজ সবাইকে ডেকে সতর্ক করছি, জমে থাকা পানি না সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক তথ্যে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর চট্টগ্রাম নগরে মশার প্রজনন স্থান হিসেবে ৪৩৫টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি মশার প্রজনন স্পট রয়েছে মোহরা ওয়ার্ডে, এ ওয়ার্ডে ৫২টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও শুলকবহর ওয়ার্ডে ৩০ স্পট, পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে ২৯টি ও দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ২৫ স্পটকে ঝুকিঁপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, মশার সংক্রমণ কমাতে আমরা ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দিচ্ছি। আজকে আরবান ভলান্টিয়ার ও রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ারদের ৮টি টিম গঠন করে নগরীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে তাদের বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণের আহবান জানানো হচ্ছে এবং মশার ঔষুধ ছিটানো হচ্ছে । এসময় ছাদে মশার লার্ভা ও আবাসস্থল পাওয়ায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন ৭টি ভবনের মালিকপক্ষকে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।