নারায়ণগঞ্জে মোবাইল না পেয়ে অভিমান করে কিশোরের আত্নহত্যা

নারায়ণগঞ্জে মোবাইল না পেয়ে অভিমান করে কিশোরের আত্নহত্যা

ছবিঃ সংগৃহীত।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মোবাইল ফোন কিনে না দেয়ায় বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে রাকিব হাসান অন্তর (১৭) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

রোববার (৯ জুলাই) রাতে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ ফারুকের ভাড়াটিয়া বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাকিব হাসান অন্তর ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ ফারুকের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ মহসীনের পুত্র। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, নিহত কিশোর রাকিব হাসান অন্তর উত্তর নরসিংপুরস্থ জার্জিজ ডাইং কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করে করতো। গত ৭-৮ দিন পূর্বে একটি টাচ্ মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য বাবা- মায়ের নিকট আবদার করেছিলো।

তখন তার বাবা ও মা বলে সবে মাত্র ঈদ শেষ হয়েছে। হাতে টাকা নেই।কয়েকদিন পর মোবাইল ফোন কিনে দিবো। রোববার (৯ জুলাই) সকাল নয়টার দিকে অন্তরের মা বেড়াতে যায়। আর তার বাবা একই সময়ে নিজ কর্মস্থলে চলে যায়।

নিহত রাকিব হাসান অন্তর সারাদিনই বাসায় ছিলো। মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ার রাগে ও ক্ষোভে বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার মধ্যে রাকিব হাসান অন্তর ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় মায়ের ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। রাত আটটার দিকে অন্তরের বাবা বাসায় ফিরে এসে দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগানো ছেলে রাকিব হাসান অন্তরের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানায়, বাবা- মায়ের সাথে অভিমান করে আত্নহত্যা করেছে। এবিষয়ে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।