খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ: কেসিসি’র ১২ শর্ত

খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ: কেসিসি’র ১২ শর্ত

ফাইল ছবি

যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ আগামী ১৭ জুলাই।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দিবেন। অনুষ্ঠিতব্য বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশস্থল হিসেবে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহারেখুলনায় তারুণ্যের সমাবেশে কেসিসি’র ১২ শর্ত ১২টি পূর্বশর্ত দিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। শর্তাবলীর শুরুতেই বলা হয়েছে কেএমপি’র অনুমতি না পেলে রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি বাতিল হবে। অন্যদিকে, কেএমপি’র মৌখিক অনুমতি পেয়েই ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে দলটি। 

সমাবেশের স্থান বুধবার (১২ জুলাই) চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সমাবেশ স্থল হিসেবে নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দিয়েছে। স কেসিসি’র সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের অদুরে সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহারে ১২টি শর্ত দেয়া হয়েছে বিএনপিকে। 

শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে- উক্ত অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই কেএমপি’র অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। কেএমপি অনুমতি প্রদান না করলে কেসিসি’র ওই অনুমতি বাতিল বলে গণ্য হবে। অনুমোদিত রাস্তা ও রাস্তার মাঝে অবস্থিত ডিভাইডার বা বিউটিফিকেশন কোনরূপ বিনষ্ট/খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না। এ জাতীয় কোনরূপ ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই বিপরীত পার্শ্বস্থ রাস্তা ব্যবহার করা যাবে না। জনউপদ্রব সৃষ্টি এবং জনসাধারণসহ যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোন কর্মকান্ড করা যাবে না। অনুমোদিত স্থানে আইন বিরোধী, অশালীন ও অশোভন তোন কর্মকান্ড করা যাবে না। সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। উচ্চ শব্দের কারণে জনসাধারণের মধ্যে যাতে বিরক্তিকর উদ্রেক সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কার্য থেকে বিরত থাকতে হবে। অনুমতিপ্রাপ্ত স্থানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। অনুমোদিত স্থানে সরকার বা কর্পোরেশন বা জনস্বার্থের প্রয়োজনে প্রদত্ত অনুমতি বাতিলের ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। এতে কোন ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।

এদিকে, তারুণ্যের সমাবেশকে বিশাল জনসমুদ্রে রূপদানে খুলনা জেলা ও মহানগর ছাড়াও বিভাগের অন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, মতবিনিময়, কর্মীসভা ও লিফলেট বিতরণ করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করছে বিএনপি। এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে দলটি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশে খুলনায় পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। সমাবেশ করতে জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি সহযোগী, অঙ্গসংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। থানা-উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফলে কর্মীসভা, সমাবেশ ও জনসংযোগ করছে। নির্বাচনকালীন প্রচারণার আদলে বাড়ি-বাড়ি ১০ লাখ লিফলেট বিতরণের করছে দলটি। 

উল্লেখ্য, ব্বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম বিভাগে সমাবেশ আয়োজনের মধ্যদিয়ে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়েছিল; যা ২২ জুলাই ঢাকায় শেষ হবে।