কিংসের জয় দিয়েই টানা চতুর্থ শিরোপা উদযাপন

কিংসের জয় দিয়েই টানা চতুর্থ শিরোপা উদযাপন

ফাইল ছবি

তিন ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বসুন্ধরা কিংস। দেশের ফুটবলে লিখেছিল নতুন এক ইতিহাস। টানা চার লিগ শিরোপা জয় করা একমাত্র দল তারা। শিরোপা তখন নিশ্চিত হলেও হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। অবশেষে আজ সেই শিরোপা হাতে পেয়েছে।

শিরোপা হাতে পাওয়ার এই দিনে ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় আবাহনীর বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে ১-০ গোলে জয়ও পেয়েছে দলটি। একমাত্র গোলটি আসে দরিয়েলতন গোমেজের পা থেকে।  

ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় শুরু থেকেই আসরের রানার্স আপ দল আবাহনীর উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। নবম মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করেন মিগেল দামাসেনা। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে বল মারেন পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ১৭ মিনিটেই ফ্লাড লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে পুরো কিংস অ্যারেনা। দেশের এক মাত্র ক্লাব হিসেবে নিজস্ব স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট স্থাপন করেছে কিংস। শুধু দেশে নয় উপমহাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে নিজস্ব স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট রয়েছে কিংসেরই।

আবাহনীর ওপর চাপ ধরে রেখে ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় কিংস। মিগেল দামাসেনার ফ্রি-কিক আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম ঝাঁপিয়ে ফেরালেও ফিরতি বল অনায়াসে জালে পাঠান দরিয়েলতন গোমেজ। লিগে এটি তার ২০তম গোল। ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় কিংস।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। ৫২ মিনিটে গোল শোধ করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল তারা। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে শুধু মাথা ছুঁইয়ে দিলই সমতায় ফিরতে পারতো দলটি। তবে তেমনটা করতে পারেননি নাইজেরিয়ান ফুটবলার পিটার নোরা।

৭৫ মিনিটে মিগেল দামাসেনার বক্সের বাইরে থেকে নেয়া জোরালো শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম। ৮০ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন দরিয়েলতন। তবে তার শট বাইরে দিয়ে গেলে সে যাত্রায় আর ব্যাবধান বাড়েনি।

৮৬ মিনিটে রবসনের থ্রুবল বক্সের মধ্যে পেয়ে যান দরিয়েলতন। তার শট অল্পের জন্য সাইডবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।  

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুন সুযোগ মিস করেছেন এলিটা কিংসলে। রাহিম উদ্দিনের ক্রসে এলিটার শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কিংস।

প্রিয় দলের শিরোপা উদযাপনের ম্যাচে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন সমর্থকরা। কিংস অ্যারেনার পুরো গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন গ্যালারির সমর্থকরা।