ব্যাটে না লাগলেও দৌড় দিস’, শরিফুলকে বলেছিলেন হৃদয়

ব্যাটে না লাগলেও দৌড় দিস’, শরিফুলকে বলেছিলেন হৃদয়

সংগৃহীত

ছয় বলে প্রয়োজন ছয় রান, পাঁচ বলে দুই; কত সহজ সমীকরণ! অথচ এটাই কঠিন করে তুললেন মিরাজ, তাসকিন, নাসুম। এই দুই রান তুলতে গিয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিলেন তিনজন; করিম জানাতকে উপহার দিলেন হ্যাটট্রিক!

এক নিমিষেই যেন ফিরে এলো ২০১৬ সালের ব্যাঙ্গালুরু স্মৃতি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেবার ভারতের দেয়া ভারতের বিপক্ষে ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি টাইগাররা, ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় হেরেছিল ১ রানে। জনমনে আতঙ্ক, এবারো কী এমন কিছু হতে চলেছে!

সমর্থকদের মনেই যখন দুশ্চিন্তার কালো মেঘ বাসা বেঁধেছে, তখন অপরপ্রান্তে অপরাজিত তাওহীদ হৃদয়ের কেমন লাগছিল? ৩২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার যখন আসা-যাওয়া দেখছিলেন সতীর্থদের, তখন তার মনে কী চলছিল?এমন প্রশ্ন ছিল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাওহীদ হৃদয়ের কাছে।

এই বিষয়ে খোলাসা করে তিনি বলেন, 'আমার আত্মবিশ্বাস ছিল সবার উপরেই। তাসকিন ভাই, নাসুম ভাই এমনকি শরিফুল তারা সবাই খুব ভালো ব্যাটিং করে। তাসকিন ভাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন মুহূর্তে আমাদের জিতিয়েছে আমরা দেখেছি। সেই ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক চার মেরেছিলেন তিনি।'

‘শরিফুলের ওপর আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি জানি ওর সামর্থ্য। আমরা একসাথে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে খেলে আসছি। জানতাম সে বড় বড় ছয় মারতে পারে। শেষ বল পর্যন্ত তাই আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি তাকে বলছিলাম যে যদি বল ব্যাটে নাও লাগে তাও দৌড় দিস। ম্যাচটা তুইই জেতাবি। সেও বলেছিল, ইনশা আল্লাহ জেতাব।'

কথা রেখেছিলেন শরিফুল। বল ব্যাটে লেগে পৌঁছে গেল বাউন্ডারিতে। আর তাতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। ১-০ তে এগিয়ে যায় সিরিজে।