পদত্যাগ করলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি

পদত্যাগ করলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি

বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো যাচ্ছিল না টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির। এর জের ধরে এবার পদত্যাগ করেছেন তিনি। 

২০১৬ সালে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে বাফুফেতে যোগ দেন স্মলি। আর তার সঙ্গে ফেডারেশনের সঙ্কটের শুরু গত মে মাস থেকে। 

সবশেষ নারী দলের বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের সময়ই বুঝা যায় ফেডারেশনের সঙ্গে ব্রিটিশ এই টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের সম্পর্ক কতটা বাজে আকার ধারণ করেছে। আগে স্বপ্না-কৃষ্ণাদের প্রায় সব ম্যাচের সঙ্গে তিনি জড়িত থাকলেও এবার আর সঙ্গে ছিলেন না। এমনকি দীর্ঘ সময় পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাওয়া সাবিনাদের সঙ্গে থাকতে দেননি ফিটনেস কোচ ইভান রাজলভকেও। 

গত মে মাসে প্রথম বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন,  ‘পলের চুক্তি আছে ২০২৪ পর্যন্ত। কিন্তু সে আর থাকতে চাইছে না। আমি যেন তাকে থাকার জন্য অনুরোধ না করি। কারণ, সে মনে করে, বাংলাদেশের ফুটবলে কাজ করার আর পরিবেশ নেই। এ দেশের মানুষ ফুটবল ভালোবাসে না। পছন্দ করে না। কাজেই সে আর থাকতে চাইছে না।’ 

এদিকে দায়িত্ব ছাড়ছেন জানিয়ে আজ সাংবাদিকদের স্মলি বলেছেন, ‘আমি গত প্রায় দেড় মাস যাবৎ সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য। তিনি আমার পয়েন্টগুলো যৌক্তিক বললেও এটি স্থায়ীভাবে করতে সময় চেয়েছিলেন। সেই বিষয়গুলো পরিবর্তন না হওয়ায় আমি চলে যাচ্ছি।’ 

বাফুফে ছাড়ার মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ফিফা ৫০ পাতার একটি বিশাল রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে কারা কারা যুক্ত সবই বর্ণনা রয়েছে। ফিফা যে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-অসঙ্গতি রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমি থাকতে পারি না’ 

২০১৬ সালে বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হবার পর ২০১৯ সালে শেষ হয় তাঁর চুক্তির মেয়াদ। এরপর আর চুক্তি নবায়ন না করায় পল চাকরি নিয়েছিলেন ব্রুনাইয়ে। কিন্তু ২০২০ সালে ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের কথা বলে চার বছরের জন্য তাকে আবার নিয়োগ দেয় বাফুফে। চুক্তি অনুযায়ী তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে এর আগেই নিজেই পদত্যাগ করলেন তিনি।