আচরণবিধি ভেঙে ভারত - বাংলাদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে হারমানপ্রীত

আচরণবিধি ভেঙে ভারত - বাংলাদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে হারমানপ্রীত

আচরণবিধি ভেঙে ভারত - বাংলাদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে হারমানপ্রীত

ক্রিকেটীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শাস্তির মুখে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। আইসিসির বিধিমালা অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন এবং ম্যাচ শেষে কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছেন ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

মিরপুরে শনিবার সফরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও বাংলাদেশ। এর আগে ফেভারিট হিসেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয় হারমানপ্রীতের দল।তবে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি হারের পর প্রথম ওয়ানডেও হেরে বসে সফরকারীরা, যেটা ছিল ৫০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ভারতের প্রথম হার। পরেরটি ভারত জিতলে শেষ ম্যাচ পরিণত হয় অঘোষিত ফাইনালে।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে টাই করে বাংলাদেশ দল। ফলে সিরিজটাও ১-১ এ ড্র হওয়ায় ট্রফি ভাগাভাগি করতে হয় দুই দলকে।কিন্তু ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে আসে ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীতের আচরণ, যা ম্যাচ শেষ হওয়া প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর এখনো দুই দেশের সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।

মাঠে যা ঘটেছিল

শনিবার ম্যাচে নিজের আউটের পর মেজাজ হারান প্রায় ৩০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হারমানপ্রীত।আম্পায়ারের দেয়া 'কট বিহাইন্ড' সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন তিনি।এরপর আম্পায়ারের সাথেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় তাকে। প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে বাংলাদেশের দর্শকদের দিকেও আঙুল তুলতে দেখা যায় ক্ষিপ্ত হারমানপ্রীতকে।

আর ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে আম্পায়ারিং নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত।তিনি বলেন, “যে ধরণের আম্পায়ারিং এখানে হয়েছে তাতে আমরা খুবই অবাক হয়েছি। এরপর যখন আমরা বাংলাদেশ আসবো, তখন এরকম আম্পায়ারিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আসবো....আম্পায়ারদের কিছু সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ।”

হারমানপ্রীতকে জরিমানা?

ম্যাচ চলাকালে এবং ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীতের 'কোড অব কন্ডাক্ট' ভঙ্গের ঘটনায় হারমানপ্রীতকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি জরিমানা করতে যাচ্ছে, বলে খবর দিচ্ছে ক্রিকেট বিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

একজন ম্যাচ অফিসিয়ালকে উদ্ধৃত করে ক্রিকবাজ এ খবর দিলেও, এবং ঘটনা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও আইসিসির ওয়েবসাইটে এখনো এ বিষয়ে কোন ঘোষণা আসেনি।ক্রিকবাজ বলছে, হারমানপ্রীতকে তার ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হচ্ছে।মাঠে স্ট্যাম্প ভাঙার অপরাধে ৫০শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে তাকে।

এছাড়া পুরষ্কার বিতরণীর সময় আম্পায়ারদের সমালোচনা করায় আরো ২৫ শতাংশ জরিমানা এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেতে যাচ্ছেন হারমানপ্রীত।ভারতীয় অধিনায়কের আচরণকে 'লেভেল টু' ধরণের অপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন ওই ম্যাচ অফিসিয়াল।ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণীতে এসে আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করেন হারমানপ্রীত

বাংলাদেশ এবং ভারতে সমালোচনা

হারমানপ্রীতের আচরণ ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, “যে কমেন্টটা করলো এটা তো সে এখানে 'অন মাইক' করতে পারে না।যদি তার কোন আপত্তি থাকে সেটা সে পরে কথা বলতে পারতো, সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সাথে আলাপ করতে পারতো।”

বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে তারা (ভারতীয় দল) প্রয়োজনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা আইসিসির সাথে কথা বলবে।বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে শনিবার ম্যাচ চলার সময় থেকেই হারমানপ্রীতের আচরণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের সামাজিক মাধ্যমেই এখন ট্রেন্ড করছেন হারমানপ্রীত।

ফজলুল মিলন নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। সেই খেলাকেই যিনি কলংকিত করেছেন, তার অখেলোয়াড় সুলভ আচরন দিয়ে তিনি ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর।মাহমুদুল হাসান লিখেছেন হারমানপ্রীত যা করেছেন, তা ছিল অসম্মানজনক।তবে ফয়সাল সোহরাব পরাগ নামের একজন প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, "আচ্ছা, সাকিব আল হাসান যখন স্ট্যাম্প ভাঙলো, তখন সে বিদ্রোহ-বিপ্লবের-হিরোইজম এর প্রতীক হলেও, হারমানপ্রীত কাউরের স্ট্যাম্প ভাঙা আমাদের দৃষ্টিতে ভিন্ন কেন? এটা কি কেবল ই অন্য দেশের মেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে করেছে, তাই?"

এদিকে বাংলাদেশ সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে হরমনপ্রীত কাউর যে মন্তব্য করেছেন এবং যেভাবে মাঠে রাগ দেখিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙেছেন – তাতে কিন্তু ভারতের সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়াই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ভারতে অনেক ক্রিকেট ভক্তই মনে করছেন, সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের মান সত্যিই খারাপ ছিল এবং সে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে হারমানপ্রীত মোটেই কোনও অন্যায় করেননি।@পুষ্পালিআস্কস নামে একটি হ্যান্ডল থেকে হারমানপ্রীতের কালকের বক্তব্য কোট করে লেখা হয়েছে, “হরমনপ্রীত এমনি এমনি ভারতের সেরা ক্যাপ্টেন হননি!”জনৈক @সুনীল কুমার আবার লিখেছেন, “আনফেয়ার ডিসমিসালের শিকার হয়ে সচিন তেন্ডুলকর এর আগে বহুবার নীরবে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। গ্রেট প্লেয়ারদের খেলাটাকে শ্রদ্ধা করা উচিত – এভাবে বিতর্কিত করাটা সমীচিন নয়।”

দীর্ঘদিন ধরে দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউরের কাছ থেকে এই আচরণ যে মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়, সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।ড: সামারা আফজল আবার হারমানপ্রীতের স্টাম্প ভাঙার ভিডিও পোস্ট করে টুইট করেছেন, “ডিসগাস্টিং বিহেভিয়ার ... হাজার হাজার মেয়ে যে খেলোয়াড়ের দিকে তাকিয়ে থাকে তার কাছ থেকে এই জিনিস শোভা পায় না!”

 ‘বাজরা-ভক্ত’ হারমানপ্রীত

এদিকে, পুরো বিতর্কটাকে হারমানপ্রীত কাউর যে একটি ‘জাতীয়তাবাদী’ রঙে রাঙিয়ে পেশ করতে চেয়েছেন, তা নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই কোনও সন্দেহ ছিল না।শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে তিনি বলেছিলেন, মাঠে যেহেতু ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার (প্রণয় কুমার ভার্মা) উপস্থিত আছেন, তাই তাঁকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডাকা উচিত ছিল।অর্থাৎ হারমানপ্রীতের ইঙ্গিত ছিল, ভারতের রাষ্ট্রদূতকে অনুষ্ঠানে না-ডেকে ভারতকেই আসলে অসম্মান করা হয়েছে।

আজ (রবিবার) সকালে তিনি আবার ‘মিলেট’ জাতীয় খাদ্যশস্যের প্রসারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনকে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি’কেও অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এমনিতে হারমানপ্রীত কাউর সোশ্যাল মিডিয়া বা টুইটারের ততটা ‘অ্যাক্টিভ’ নন – যেমন এর আগে তিনি শেষ টুইট করেছিলেন গত ১৫ই এপ্রিল, অর্থাৎ তিন মাসেরও বেশি আগে।কিন্তু গত রাতে মিরপুরের ওই বিতর্কের পর আজ সকাল দশটা নাগাদ তিনি আচমকা টুইট করেন, “মিলেটের পুষ্টিগুণ আসলে অফুরন্ত, আর বাজরার পদ আমার বরাবরই খুব প্রিয়। মিলেট হল বিশ্বকে ভারতের একটি দারুণ উপহার।”“স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সাসটেইনেবেল ফুড চয়েসের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি যে অভিযান শুরু করেছেন, তাতে আমি সর্বান্ত:করণে আমার সমর্থন জানাই”, আরও লেখেন তিনি।

এই টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ভারতে অনেকেই কিন্তু হরমনপ্রীত কাউরকে কার্যত ধুয়ে দিচ্ছেন – অনেকেই লিখেছেন মণিপুরে যখন আগুন জ্বলছে আর নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন তখন তা নিয়ে একটি শব্দও না-বলে ভারতের নারী ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন হঠাৎ কেন ‘মিলেট’ নিয়ে পড়লেন!অনেক হ্যান্ডল থেকেই কমেন্ট করা হয়েছে, “আগ লাগি হ্যায় বস্তি মে, হরমন আপনি মস্তি মে!” – অর্থাৎ কি না জনপদে যখন আগুন লেগেছে, তখন কি না হরমনপ্রীত নিজের প্রিয় বাজরার রান্নার গুণগান গাইছেন!

বিসিসিআই এখনও নীরব

শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কের আচরণ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।হারমানপ্রীত কাউরের বিরুদ্ধে বোর্ড নিজে থেকে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কি না, এই প্রশ্নেরও কোনও জবাব মেলেনি।

তবে বোর্ডের একজন প্রভাবশালী ও শীর্ষস্থানীয় সদস্য বিবিসি বাংলাকে এদিন জানিয়েছেন, তারা আগে দেখে নিতে চান আইসিসি ভারতীয় ক্যাপ্টেনের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় – তার পরেই তারা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন।মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসের জন্য হারমানপ্রীতকে ভারতের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে – ফলে তিনি এখন কয়েকটি ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে ভারতীয় বোর্ডকে তা প্রবল অস্বস্তিতে ফেলবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গভর্নিং কাউন্সিল হারমানপ্রীত কাউরকে শাস্তি দিচ্ছেই, এটা নিশ্চিত - এখন আইসিসি শুধু আর্থিক জরিমানা করেই ছেড়ে দেবে, না কি পরবর্তী কয়েকটি ম্যাচেও তাকে নিষিদ্ধ করা হবে সে দিকেই সতর্ক নজর রাখছে ভারতীয় বোর্ড।

কোন মাত্রার অপরাধ?

বাংলাদেশের একজন আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, হারমানপ্রীত স্পষ্টতই আইসিসির 'কোড অফ কন্ডাক্ট' ভেঙেছেন।আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২ ধারায় বলা আছে কোন ক্রিকেটার মাঠে কোন ক্রিকেট সরঞ্জামের ক্ষতি করলে সেটা ঐ ক্রিকেটারের জন্য 'লেভেল ওয়ান' ধরণের অপরাধ।

আর ২.৭ ধারা বলছে, কেউ যদি প্রকাশ্যে আম্পায়ারের সমালোচনা করে তাহলে সেটা হবে 'লেভেল টু' ধরণের অপরাধ।এছাড়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মাঠে অসন্তুষ্টি প্রকাশ আরেকটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।এই সবগুলো কোড অফ কন্ডাক্টই ভঙ্গ করেছেন হারমানপ্রীত কৌর, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফি’র শতভাগ জরিমানা অথবা দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা, সেই সাথে যোগ হবে ডিমেরিট পয়েন্ট।

“নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়াররা খেলা শেষ হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট দেবেন ম্যাচ রেফারির কাছে। তারপর ম্যাচ রেফারি সেই রিপোর্ট রিভিউ করে আইসিসির বিধি অনুযায়ী শাস্তি ঠিক করেন। প্রয়োজনে তিনি ঐ ক্রিকেটারকে শুনানিতে ডাকতে পারেন।” নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে জানান বাংলাদেশের এই ম্যাচ রেফারি।ক্রিকেটার যখন তার শাস্তির বিষয়ে জানতে পারেন তখন তার সামনে তিনটা উপায় থাকে।

এক. তিনি তার দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেন, সেক্ষেত্রে কোন শুনানির প্রয়োজন পড়ে না।

দুই. তিনি অপরাধ স্বীকার করেন, কিন্তু শাস্তির বিষয়টি পুর্নবিবেচনার আবেদন জানান, সেক্ষেত্রে শুনানির দরকার পড়ে।

আর তিন. তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের ক্রীড়া সাংবাদিক আজাদ মজুমদার মনে করেন, হারমানপ্রীতের এ আচরণ শুধু তার নিজের নয়, ভারতের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করেছে।“যেহেতু এই সিরিজে ডিআরএস নেই, এটা তো তারা মেনেই নিয়েছে যে এখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেখানে তার আচরণ আসলে শুধু তার নিজেকে না, তার দেশকেও বাজেভাবে উপস্থাপন করলো।”

সূত্র : বিবিসি