ভারতকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তানের

ভারতকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তানের

সংগৃহীত

ইমার্জিং এশিয়া কাপের টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। ভারতকে হারিয়ে এবারের আসরের শিরোপাও ঘরে তুললো তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের পাত্তাই দেয়নি মোহাম্মদ হারিসরা, ফাইনালে তাদের হারিয়েছে ১২৮ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ফাইনালে শতক হাঁকান তইয়্যব তাহির। ম্যাচ সেরাও তিনি।

ভারত-পাকিস্তান মহারণে সাধারণ একটা ম্যাচও যেখানে অসাধারণ হয়ে উঠে, সেখানে একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল! স্বাভাবিকভাবেই সবার চোখ ছিল কলম্বোতে৷ তবে প্রথম ইনিংস শেষেই নিজেদের দিকে পাল্লাটা ভারি করে নেয় পাকিস্তান, পায় ৩৫২ রানের সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত থামে ২২৪ রানে।

অবশ্য শুরুটা ভালোই হয়েছিল ভারতের। ৮.৩ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৬৪ রান। ২৮ বলে ২৯ করে আউট হবার দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন সাই সুদর্শন। দ্রুত ফেরেন নিকিন জোশী (১১)। তবে অধিনায়ক ইয়াশ ডুলকে নিয়ে ইনিংস টেনে নিতে থাকেন অভিষেক শর্মা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে রানের গতি বাড়ে, দ্রুত চলে আসে অর্ধশত রান। তবে এরপরেই বাঁধে বিপত্তি, অভিষেক শর্মা ফেরেন ফিফটি তুলে নিয়ে। তার ব্যাটে আসে ৫১ বলে ৬১ রান। ইনিংস বড় করতে পারেননি ইয়াশও, ৪১ বলে ৩৯ করে ফেরেন তিনি। এই সময় দ্রুত আরো বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় ভারত।

নিশান্ত সিঁধু, ধ্রুব জুড়েল, রায়ান পরাগ, হার্ষিত রানা কিংবা রাজবন্ধন; কেউ ইনিংস বড় করতে পারেনি। শেষ ৭ ব্যাটারের মাঝে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন পরাগ। ৬৭ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় ভারত। ১০ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয় তারা।

সুফিয়ান মুকিম ৩টি আর ওয়াসিম জুনিয়র, মুমতাজ ও আরশাদ ইকবাল নেন দুটো করে উইকেট। অন্যটি মুবাশ্বির খানের।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৫২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে হওয়া এ ম্যাচে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয় উদ্বোধনী জুটি। সাইম ও শাহিবজাদা মিলেই দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান। ১৭.২ ওভারে সাইম যখন আউট হন, দলের সংগ্রহ ১২১ রান!

ফেরার আগে অর্ধশতক পূরণ করেন সাইম আইয়ুব, খেলেম ৫১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। ইনিংসটা বড় করতে পারেননি ফারহানও, ফিফটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। আউট হন ৬২ বলে ৬৫ রান করে। তিনে নামা ওমর সাইফ ৩৫ বলে ৩৫ করে যখন ফেরে, পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ২৭.১ ওভারে ১৮৩।

ওমর ফেরার পর দ্রুত আরো দুটো উইকেট হারায় পাকিস্তান, জোড়া উইকেট হারিয়ে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ২৮.৪ ওভারে ১৮৭/৫। একপাশে দাঁড়িয়ে এতোক্ষণ সতীর্থদের আশা-যাওয়া দেখছিলেন তাহির। তবে এরপর ইনিংস টেনে নেয়ার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে, হাল ধরেন দলের।

মুবাশ্বির খানের সাথে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৯৮ বলে ১২৬ রান! যেখানে মুবাশ্বিরের অবদান ৪৪ বলে মাত্র ৩৩, বিপরীতে ৫৩ বলে ৯২ রান যোগ করেন তাহির! ততক্ষণে ছুঁয়ে ফেলেছেন শতকও, মাত্র ৬৬ বলে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান তিনি। আউট হন ৭১ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৮ রান করে। দলের সংগ্রহ তখন ৪৫ ওভারে ৩১৩/৬।

মুবাশ্বির আউট হন ৪৭ বলে ৩৫ রান করে। তব শেষদিকে ওয়াসিম জুনিয়রের ১০ বলে অপরাজিত ১৭, মেহরানের ১৩ রানে ভর করে সাড়ে তিন শ’র গণ্ডি পাড়ি দেয় পাকিস্তান। ৮ উইকেট হারিয়ে করে ৩৫২ রান।

দুটো করে উইকেট পেয়েছেন রাজাবন্ধন ও রায়ান পরাগ।