মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন অপরিহার্য: আদালত
প্রতীকী ছবি।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত একটি মাদক মামলার রায়ের আগে পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।
পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, বর্তমানে মাদকের কালো থাবা আমাদের দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশের যুবসমাজ নেশাজাতীয় মাদক হেরোইন ইয়াবা সেবন করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মাদকের ব্যবহারে মারাত্মক অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে যা আমাদের কারো কাম্য নয়। তাই মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন অপরিহার্য।
এদিকে, রায়ে সাইমুন আজম জনি নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শাহরিয়ার ইমন নামে আরেক আসামিকে ১০ বছর কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকেও আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আলমগীর হোসেন শামীম নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ৩১ মে রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রমনার সিদ্ধেশ্বরীর একটি বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে দুই কেজি ৬০০ গ্রাম হেরোইন এবং এক হাজার ৪৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে জনি ও ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রমনা সার্কেলের পরিদর্শক এস এম সামশুল কবীর পরদিন রমনা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন অধিদপ্তরের মিরপুর সার্কেলের পরিদর্শক এস এম এলতাফ উদ্দিন।
২০১০ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।