গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ

গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ

গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে।জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ২য় আন্তর্জাতিক ফুড সিস্টেম সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ৮৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে’ যোগদান করলো।

আজ ইতালির রোমে বাংলাদেশ পক্ষে কোয়ালিশনের কমিটমেন্ট ডিক্লারেশনে স্বাক্ষর করেন  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি  বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউ এফ পি ) কোয়ালিশনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন  জানিয়ে  সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করে আসছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় ১০৪টি উপজেলার ৩০ লাখেরও বেশি শিশুকে পুষ্টিকর বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এর মাধ্যমে  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়ার হার ৭.৫ হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, এ কর্মসূচির অভাবনীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার আগামী ৩ বছরে ১৫০ উপজেলার ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখেরও বেশি শিশুর মাঝে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। নতুন এ কর্মসূচিতে পুষ্টিকর বিস্কুটের পাশাপাশি মৌসুমী ফল, ডিম, দুধ,  প্রভৃতি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও বিস্তৃত পরিসরে এ কর্মসূচি চালু করা সম্ভব হবে।কোয়ালিশনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের  প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ব্যাপক পরিসরে ’স্কুল মিল’ চালু করার যে কর্মপরিকল্পনা  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে তা আরও ত্বরান্বিত হবে।

সূত্র : বাসস