দেশজুড়ে ডাকা অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট স্থগিত

দেশজুড়ে ডাকা অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট স্থগিত

প্রতীকী ছবি

পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশজুড়ে ডাকা ধর্মঘট স্থগিত করেছেন অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা। তারা বলেছেন, দাবি পূরণের আশ্বাস এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

ছয় দফা দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট ডেকেছিল বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।রোববার তারা এই ঘোষণা দেওয়ার পরদিন সোমবারই পুলিশ সদর দপ্তরে তাদের বৈঠকের জন্য ডাকা হয়।

অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা বৈঠক শেষে রাতে বলেন, “আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এই অবস্থায় ধর্মঘট করলে রোগীরা বিপদে পড়বেন।

“এছাড়া কোনো কারণ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হয়রানি করা হবে না, মামলা দেওয়া হবে না- এমন আশ্বাস তারা দিয়েছেন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা ধর্মঘট আপাতত স্থগিত করছি।”

অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনায় জাতীয় নীতিমালা তৈরির যে দাবি ছিল, তা তিন মাসের মধ্যে করা হবে, এমন আশ্বাসও পেয়েছেন বলে জানান গোলাম মোস্তফা।

তাদের অন্য দাবির মধ্যে ছিল, অ্যাম্বুলেন্স থেকে বিআরটিএর কর নেওয়া বন্ধ করা, দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা দেওয়া, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল এবং গ্যাস নেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং সড়কে পুলিশি হয়রানিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করা।

ধর্মঘট স্থগিতের কথা জানিয়ে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আতিকুর রহমানের সঙ্গে তাদের ‘যথাযথ’ আলোচনা হয়।

“আলোচনায় আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোথাও কোনো অ্যাম্বুলেন্সকে ট্যাক্স-টোকেন ফিটনেট ও কাগজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মামলা-মোকদ্দমায় পড়তে হবে না।”

বিআরটিএর হিসাবে সারাদেশে নিবন্ধিত অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ৮ হাজার ৩১৭টি। এর মধ্যে আট হাজারের মতো অ্যাম্বুলেন্স বেসরকারি বলে জানিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।