খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় সাক্ষ্য পেছালো

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় সাক্ষ্য পেছালো

ফাইল ছবি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ২২ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল। মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত প্রথমে সময় আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবারও সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

গত ২৩ মে মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন,   ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।